লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের মহিমা! ফের চালু হল বন্ধ হয়ে যাওয়া হরিনাম সংকীর্তন

গ্রামের মহিলাদের উদ্যোগকে সাধুবাদ জানিয়েছেন মহকুমা শাসক।

author-image
Anusmita Bhattacharya
New Update
COVER-Recoveredla

নিজস্ব প্রতিনিধি, পশ্চিম মেদিনীপুর: রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ২০২১ সালে মহিলাদের জন্য চালু করেছিলেন লক্ষীর ভাণ্ডার প্রকল্প। প্রথমে মহিলারা লক্ষীর ভাণ্ডার প্রকল্পের মাধ্যমে মেয়েরা পাচ্ছিলেন ৫০০-১০০০ টাকা। এই বছর লোকসভা ভোটের আগে সেটা বেড়ে হয় ১০০০-১২০০ টাকা। অর্থাৎ যেই সমস্ত মহিলারা ৫০০ টাকা করে আগে পেতেন এবার সেই সমস্ত মহিলারা পাচ্ছেন ১০০০ টাকা করে আর যে সমস্ত মহিলারা আগে ১০০০ টাকা করে পাচ্ছিলেন এখন সেই সমস্ত মহিলারা পাচ্ছেন ১২০০ টাকা। মহিলাদের লক্ষীর ভাণ্ডারের সঞ্চিত অর্থেই হরিনাম সংকীর্তন আয়োজন করা হয়েছে। ঘটনা পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার চন্দ্রকোনা পৌরসভার ৬ নং ওয়ার্ড বাঁশদহ এলাকার। বাঁশদহ গ্রামের মহিলাদের দ্বারাই পরিচালিত হচ্ছে এই হরিনাম যজ্ঞ।

জানা গিয়েছে গ্রামের অর্থ সংকটের কারণে গ্রামে বন্ধ হয়ে যায় হরিনাম সংকীর্তন। বিগত বেশ কয়েক বছর ধরে বন্ধ থাকে গ্রামের হরিনাম সংকীর্তনটি। আগে গ্রাম কমিটির মাধ্যমে গ্রামের বাসিন্দাদের থেকে চাঁদা আদায়ের মাধ্যমে চলত গ্রামের হরিনাম সংকীর্তন। কিন্তু আর্থিক যোগান কমতে থাকায় বন্ধ হয়ে যায় তা। অন্যদিকে লক্ষীর ভান্ডার প্রকল্প চালু হতেই বাঁশদহ এলাকার সমস্ত মহিলারা একত্রিত হয়ে উদ্যোগ নেয় গ্রামে বন্ধ হয়ে যাওয়া হরিনাম সংকীর্তন পুনরায় চালু করবে। সেই থেকেই মহিলারা উদ্যোগ নেয় হরিনাম সংকীর্তনের। লক্ষীর ভাণ্ডার প্রকল্পের আওতাধীন গ্রামেরই ৬০-৬২ জনের একটি মহিলা দল এই উদ্যোগ নিয়েছে বলে জানা গিয়েছে। গ্রামের অর্থ সংকটের বিষয়টি যদিও স্বীকার করে নেন গ্রামের পুরুষেরা।

এলাকার মহিলারা এককালীন এই লক্ষীর ভাণ্ডার প্রকল্পের টাকা তোলেন। গ্রামের মহিলাদের লক্ষীর ভাণ্ডার প্রকল্পের সঞ্চিত অর্থ থেকেই ১৬ প্রহর ব্যাপী চলে এই হরিনাম সংকীর্তন। ১৬ ই জুন থেকে ১৮ ই জুন পর্যন্ত তিনদিন ব্যাপী এই হরিনাম যজ্ঞের আয়োজন হয়। আজ শেষ দিনে গ্রামের বাসিন্দাদের জন্য নিরামিষ ভোজনের আয়োজনও রয়েছে। হরিনাম সংকীর্তনে ব্রতী হিসেবে থাকেন কমিটির এক মহিলা। বাজার করা থেকে জোগাড় করা সমস্তটা করেন মহিলারাই। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর এই প্রকল্পকে কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন ঐ সমস্ত মহিলারা। এই প্রকল্প চালু থাকলে আগামী দিনে আরো উন্নয়নমূলক কাজ করবেন বলে জানিয়েছেন মহিলারা। 

মহিলাদের আমন্ত্রণে হরিনাম যজ্ঞ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ঘাটাল মহকুমা শাসক সুমন বিশ্বাস, চন্দ্রকোনা থানার ওসি শুভঙ্কর রায়, চন্দ্রকোনা পৌরসভার চেয়ারম্যান প্রতিমা পাত্রসহ স্থানীয় কাউন্সিলর ও এলাকার বিশিষ্ট ব্যক্তিরা। মহকুমাশাসকের মুখ থেকে প্রশংসা পেয়েছেন এলাকার মহিলারা। এমন ভাবে গ্রামে বন্ধ হয়ে যাওয়া হরিনাম পুনরায় চালু করতে পেরে খুশি মহিলারাও।

Add 1