নিজস্ব সংবাদদাতা: ট্রেন এরোপ্লেনের মতন প্রভাব পড়েছে জাহাজেও। হলদিয়া বন্দর থেকে আর ওঠানামা করবে না কোন জাহাজ। বুধবার রাত থেকেই বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে হলদিয়া বন্দরে অপারেশন। হলদিয়ায় খোলা হয়েছে কন্ট্রোল রুম। কোথায় রয়েছে ঘূর্ণিঝড় ডানা, তা পর্যালোচনা করা হচ্ছে সেখান থেকেই।
২৫ অক্টোবর অর্থাৎ শুক্রবার দুপুর পর্যন্ত হলদিয়া বন্দরের সব ধরনের জাহাজ ওঠানামা সহ যাবতীয় অপারেশন বন্ধ থাকবে। বন্দরের লকগেট হয়ে গিয়েছে বন্ধ। নদী থেকে বন্দরের নোঙর এরিয়ার মধ্যে জাহাজ চলাচল সম্পূর্ণ বন্ধ। প্রবেশ করতে দেওয়া হবে না ছোট বার্জ। দুদিন ধরে বন্দরে বন্ধ থাকবে যাবতীয় গুরুত্বপূর্ণ কাজ। বলা যেতে পারে দুইদিন সম্পূর্ণ নিষ্ক্রিয় থাকবে হলদিয়া বন্দর।
ঘূর্ণিঝড়ের জন্য বিভিন্ন সতর্কতা জারি করা হয়েছে। বন্দরের প্রশাসক প্রবীণ কুমার দাস জানিয়েছেন, সতর্কতা অবলম্বন করে তৎপর রয়েছে হলদিয়া বন্দর। ৫ টি ভেসেল এবং জাহাজ আটকে দেওয়া হয়েছে। সুরক্ষিত এলাকায় রাখা হয়েছে এই ভেসেল গুলি। বৃহস্পতিবার গোটা দিন ধরে চালানো হবে নজরদারি। ৬ টি জাহাজ থেকে দ্রুতগতিতে পণ্য ওঠা নামার কাজ চালানো হচ্ছে।
দুপুরের আগেই নদী এবং সমুদ্রের মাইকিং করে মৎস্যজীবীদের ফিরিয়ে আনা হয়েছিল বুধবার। লোহার খুঁটির সঙ্গে বেঁধে দেওয়া হয়েছে জাহাজের আর্ম। ঝড়ের গতিবেগ হতে পারে ১২০ কিলোমিটার প্রতি ঘন্টা। হলদিয়ার মহকুমা শাসক তথা পৌরপ্রশাসক সুপ্রভাত চট্টোপাধ্যায়, জানিয়েছেন কন্ট্রোল রুম খোলা হয়েছে। বন্দরে জারি করা হয়েছে সব রকম নিরাপত্তা। বন্দরের শ্রমিকদের নিরাপদ স্থানে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। মোটের উপর ঝড়ের মোকাবিলা করতে প্রস্তুত হলদিয়া বন্দর।