নিজস্ব সংবাদদাতা, ঘাটাল: সরকারী বিভিন্ন প্রকল্প ও বিভিন্ন পরিষেবা মানুষের কাছে যাতে পৌঁছে দেওয়া যায় সেই জন্য আজ একটি বৈঠক অনুষ্ঠিত হল ঘাটাল টাউন হলে। এই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন ঘাটালের মহকুমা শাসক সুমন বিশ্বাস দাসপুরের বিধায়িকা, পাঁচটি ব্লকের বিডিওরা, সভাপতিরা, জেলা পরিষদের কর্মাধক্ষ্য আশিষ হুদাইত, পাঁচটি পৌরসভার চেয়ারম্যান ও প্রতিনিধিগণ, ৪৮টি গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধানগণ, পঞ্চায়েত সমিতির সকল কর্মাধক্ষ্য, মহকুমার সমস্ত জেলা পরিষদের সদস্য ও সদস্যারা।
আজকের এই সভাতে মূলত যে যে বিষয়গুলি নিয়ে আলোচনা হল সেগুলি হল স্বচ্ছ ভারত মিশন। গ্রামীণের ক্ষেত্রে ব্যক্তিগত শৌচালয় নির্মানের জন্য আবেদন গ্রহণ চলছে। যে যে বাড়িতে শৌচালয় নেই তারা পোর্টালের মাধ্যমে আবেদন করতে পারবেন। বাংলা সহায়তা কেন্দ্রে গেলে যে কেউ এই আবেদন করতে পারবেন। ব্লকের বিডিওরা, পঞ্চায়েতের প্রধানরা এই আবেদন করিয়ে দেওয়ার ক্ষেত্রে ভূমিকা পালন করবে। এই কাজ বেনিফিসিয়ারিকে নিজেকেই করতে হবে ও তার জন্য কাজ শুরু হওয়ার পর সরকার থেকে অর্থ বেনিফিসিয়ারির অ্যাকাউন্টে দিয়ে দেওয়া হবে।
প্রতিটি গ্রাম পঞ্চায়েতে সলিড ওয়েস্ট ম্যানেজমেন্টের ইউনিট তৈরি করে দেওয়া হবে। অনেকগুলি পঞ্চায়েতেই এই কাজ সম্পন্ন হয়েছে। বাকি পঞ্চায়েতে এই কাজ করা হবে। এই ক্ষেত্রে নোংরা পরিবহনের জন্য ই-কার্ট কেনার কাজ চলছে। অনেকগুলি পঞ্চায়েতের জন্য ই-কার্ট কেনা সম্পন্ন হয়েছে। বাকিগুলি টেন্ডার স্টেজে আছে। দ্রুত এই কাজ করে ফেলতে বলা হয়েছে। বিডিও ও পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতিদের সময় দেওয়া হয়েছে ১ মাস। এর মধ্যে এই কাজ সম্পন্ন করতে হবে।
গ্রে-ওয়াটার ম্যানেজমেন্টের কাজ চলছে। গ্রামে গ্রামে শোকপিট নির্মাণের কাজ চলছে। এই কাজে গতি আনতে বলা হয়েছে। যাতে দ্রুত ঘাটাল মহকুমার সকল গ্রামগুলিকে ওডিএফ প্লাস তকমা দেওয়া যায় সেই জন্য সব লেভেলে কাজ শুরু হয়েছে। এই কাজে অর্থের কোনও অভাব নেই। সব বিডিওকে এই কাজে গুরুত্ব দিতে বলা হয়েছে।
পঞ্চদশ অর্থ কমিশন এবং পঞ্চম রাজ্য অর্থ কমিশনের যে অর্থ ব্লক ও গ্রাম পঞ্চায়েতে পড়ে রয়েছে সেই বরাদ্দ অর্থের খরচ দ্রুত করতে হবে। এই কাজে ঘাটাল মহকুমার মধ্য সবছেয়ে পিছিয়ে পড়েছে ঘাটাল ব্লক। পিছিয়ে থাকা গ্রাম পঞ্চায়েতগুলিকে বলা হয়েছে দ্রুত কাজ শেষ করতে। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে কাজ শেষ করার উপর জোর দেওয়া হয়েছে।
আদিবাসী ও তপঃজাতির জন্য শিক্ষাশ্রী মেধাশ্রী ওয়েসিস যে স্কলারশিপগুলি আছে সেগুলির আবেদন যাতে দ্রুত করে সেই কথা বলা হয়েছে। তপশিলী জাতি উপজাতি ও উন্নয়ন্ন বিত্ত নিগমের বিভিন গ্রুপ ও ব্যক্তিগপ্ত লোনের যে কোটা আছে সেই অনুযায়ী আবেদন যাতে কম পড়ে সেই জন্য চাপ দেওয়া হয়েছে।
এরপর উপস্থিত সবাইকে বিভিন্ন সার্টিফিকেট যেমন ই ডাব্লু এস, তপশিলী জাতি, উপজাতি ও অনগ্রসর সম্প্রদায়ের জন্য যে সুযোগ সুবিধা আছে সেগুলি সবাইকে বলা হয়েছে। ইন্টারকাস্ট ম্যারেজ এর জন্য সরকারী যে অর্থ সাহায্য দেওয়া হয় সে সম্বন্ধে বলা হয় সবাইকে। জন্ম-মৃত্যু সার্টিফিকেট কীভাবে পাওয়া যায় সেই সম্বন্ধেও বলা হয় সবাইকে। সামনে ডেঙ্গুর মরশুম। সবাইকে সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে। ভি আর পি রা যেন ভাল করে কাজ করে সে সম্বন্ধেও বলা হয়েছে। বাল্যবিবাহ কমানোর জন্য বলা হয় এদিন।