নিজস্ব সংবাদদাতা : রাজ্যপালের উপাচার্য নিয়োগ নিয়ে যে জনস্বার্থ মামলা হয়েছিল হাইকোর্টে সেই মামলায় কার্যত শেষ হাসি হাসলেন সি ভি আনন্দ বোস। অন্যদিকে মুখ পুড়লো রাজ্য সরকারের। আচার্য যে ১১ টি বিশ্ববিদ্যালয়ে উপাচার্য নিয়োগ করেন তার মধ্যে একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের নবনিযুক্ত উপাচার্য নিয়োগপত্র নেননি। বাকিদের নিয়োগ বৈধ কিনা সেই প্রশ্ন তুলে দায়ের হয়েছিল মামলা। পেশায় শিক্ষক এক ব্যক্তি জনস্বার্থ মামলাটি দায়ের করেন। সেই মামলার শুনানিতে বুধবার আদালত স্পষ্টতই জানিয়ে দিল যে রাজ্যপাল যে উপাচার্যদের নিয়োগ করেছিলেন তা বৈধ।
উপাচার্য নিয়োগ নিয়ে রাজ্যপালের সঙ্গে রাজ্যের সংঘাত পৌঁছেছে চরমে। এহেন পরিস্থিতিতে মামলাকারী সনৎ কুমার ঘোষের বক্তব্য ছিল,শিক্ষামন্ত্রীর সঙ্গে কোনও রকম আলোচনা না করেই রাজ্যপাল উপাচার্যদের নিয়োগ করেছেন। রাজ্যের সঙ্গে পরামর্শ করার বিষয়টি আইনের মধ্যে পড়ে। সেই আইনকে অগ্রাহ্য করা হয়েছে। উপাচার্যদের বেতন দেয় রাজ্য। নিয়োগে বৈধতা না থাকলে কীভাবে বেতন দেবে রাজ্য সেই প্রশ্নও তোলেন মামলাকারী।
এদিন মামলার শুনানিতে প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানমের ডিভিশন বেঞ্চে প্রধান বিচারপতি তার পর্যবেক্ষণে বলেন যে মামলাকারী মামলার জনস্বার্থ কোথায় ক্ষুন্ন হয়েছে তা বোঝাতে ব্যর্থ। আচার্য হিসাবে রাজ্যপালকে উপাচার্য নিয়োগের ক্ষেত্রে রাজ্যের পাঠানো নামের প্রেক্ষিতে শিক্ষামন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনা করতে হবে এমনটা বাধ্যতামূলক নয়। আদালত সেই জন্য মামলাকারীর আবেদন খারিজ করছে।উপাচার্যদের বেতন-সহ অন্যান্য সুযোগ সুবিধা স্বাভাবিকভাবে চালু রাখার নির্দেশ দেয় আদালত।