নিজস্ব প্রতিবেদন : শুক্রবার সন্ধ্যায় জলপাইগুড়ি জেলার রাজগঞ্জ ব্লকের মন্তাদাড়ি গ্রামে এক হৃদয়বিদারক ঘটনার মধ্যে দিয়ে চারজনের মৃত্যু হয়েছে, যাদের মধ্যে একটি শিশু রয়েছে। রাস্তায় বিদ্যুতের তার পেঁচিয়ে মৃত্যু হয়েছে ওই চারজনের। মৃতদের নাম—পরেশ দাস (৬২), তার স্ত্রী দীপালী দাস (৬০), ছেলে মিঠুন দাস (৩৩) এবং আড়াই বছরের নাতি সুমন দাস।
/anm-bengali/media/media_files/1000062126.jpg)
ঘটনা সূত্রে জানা যায়, মাঠ থেকে বাড়ি ফিরছিলেন তাঁরা। বাড়ির কাছে এসে তাদের একটি বিপজ্জনক অবস্থার সম্মুখীন হয়। অন্ধকারে বৃষ্টিতে ভিজে থাকা রাস্তার ওপর বিদ্যুতের তার পড়ে থাকার কারণে পুরো রাস্তা শর্ট সার্কিট হয়ে যায়। প্রথমে ছেলে এবং নাতি অর্থাৎ মিঠুন এবং সুমন বিদ্যুতের শকে মারা যান। তাদের বাঁচাতে গিয়ে পরেশ এবং দীপালীও প্রাণ হারান।
/anm-bengali/media/media_files/1000062125.jpg)
ঘটনাটি গজলডোবার ভোরের আলো থানার অধীনে টাকিমারির বাজার এলাকায় ঘটে। ঘটনাটিকে ঘিরে গোটা অঞ্চলে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। মৃতদেহগুলি শিলিগুড়ির উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
/anm-bengali/media/media_files/5hWyD3IgOUPH73RUcoBV.jpg)
তবে এই ঘটনা প্রথম নয়। গত মাসে বারাসতের কোকো বাগান এলাকায়ও একই ধরনের একটি ঘটনা ঘটে, যেখানে এক মহিলা জমা জলের মধ্যে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মারা যান।গত বছরও জলপাইগুড়িতে পুজোর আগে মা ও ছেলের বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছিল। বারবার বিদ্যুৎপৃষ্ট হয়ে এইভাবে মৃত্যুর ঘটনা সরকারের নিরাপত্তা জনিত গাফিলতি উপর আঙুল তুলছে।