নিজস্ব সংবাদদাতা, খড়গপুরঃ খড়্গপুর শহরে প্রবেশ করে যাচ্ছে হাতির দল। ফলে জঙ্গলপথ কতটা নিরাপদ তা নিয়ে আশঙ্কা রয়েছে। যখন তখন জঙ্গল ছেড়ে রাস্তায় বেরিয়ে পড়ে দলমার দাঁতাল। আর তাতেই ঘটতে পারে বিপদ! গণতন্ত্রের উৎসবের দিনে এমনই আশঙ্কা করে পুরো জঙ্গল রাস্তা পাহারায় রইলেন বনকর্মীরা। সকাল থেকে জঙ্গল লাগোয়া গ্রামগুলিতে গিয়েও মানুষজনদের বলে এসেছেন রাস্তায় সাবধানে যাতায়াত করতে। কোথাও হাতির দেখা বা সম্মুখীন হলে তৎক্ষণাৎ বনদপ্তরে জানাতে। কোন এলাকার মানুষজন যদি ভোট কেন্দ্রে যেতে না পারেন হাতির জন্য, তাদের ভোটকেন্দ্রে পৌঁছে দেওয়ার দায়িত্ব নিয়েছে বনদপ্তর। বুধবার মেদিনীপুর বিধানসভা উপনির্বাচনে জঙ্গল লাগোয়া মেদিনীপুর সদর ব্লকের ধেড়ুয়া ও চাঁদড়া গ্রাম পঞ্চায়েতের বিভিন্ন এলাকার জঙ্গল রাস্তায় টহল দিতেও দেখা গিয়েছে বনকর্মীদের।
তবে বনকর্মীরা জঙ্গলে রাস্তায় দাঁড়িয়ে থাকলেও দেখা মেলেনি মানুষজনের। বনকর্মীরা বলছেন, জঙ্গলপথ দিয়ে মানুষজন যাতায়াত করেননি আজকে। তারা লোকালয়ে গ্রামের ভেতরের রাস্তা ঘুরে ঘুরে হলেও ভোটকেন্দ্রে গিয়েছেন। বনদপ্তর থেকে জানা গিয়েছে, মেদিনীপুর বনবিভাগের চাঁদড়া রেঞ্জের আমাঝর্ণা ও পুকুরিয়াশোল এলাকায় ৩৫ টি হাতি রয়েছে। মাঝেমধ্যেই তারা জঙ্গলের রাস্তায় উঠে আসছে। ফলে ওই পথ বিপদজনক মনে করে আগে থেকে সতর্ক ছিলেন বনকর্মীরা। এদিন সকাল থেকেই ওই রাস্তায় বনকর্মীদের পাহারায় দেখা গিয়েছে। মানুষজন এলে তাদের নিরাপদে ওই রাস্তা পার করিয়ে দেওয়ারও বন্দোবস্ত ছিল। কিন্তু দিনের শেষে ওই রাস্তায় ব্যবহার করলেন না ভোটাররা। তারা ঘুর পথে ভোট কেন্দ্রে পৌঁছলেন। নিরাপদেই ভোটকেন্দ্রে ভোট দিয়ে বাড়ি ফিরছেন মানুষজন।
চাঁদড়া রেঞ্জের আধিকারিক সৈকত বিশ্বাস বলেন, " যে সমস্ত এলাকার জঙ্গলে হাতি রয়েছে সেই এলাকার মানুষজনের ভোট দিতে যাওয়ার পথে অসুবিধা যাতে না হয় তার জন্য বনকর্মীরা পাহারায় ছিল। হাতির জন্য কারও কোন সমস্যা হলে আমাদের জানাতে বলা হয়েছে। আমরা নিরাপদে তাঁকে ভোটকেন্দ্রে পৌঁছে দিয়ে পুনরায় বাড়ি নিয়ে আসার দায়িত্ব নিয়েছিলাম। "