বন আধিকারিকের বিরুদ্ধে গাছ কেটে বিক্রির অভিযোগ, প্রতিবাদে বিক্ষোভ

বনকর্মীর পর এবার বন আধিকারিকের বিরুদ্ধে গাছ কেটে বিক্রির অভিযোগে শোরগোল। সেই বন আধিকারিককে ঘিরে বিক্ষোভ দেখান গ্রামবাসীরা। ঘটনায় একটি কাঠ চেরাই মিল সিল করেছে বন দপ্তর।

author-image
Probha Rani Das
New Update
vbncbv9.jpg

নিজস্ব সংবাদদাতাঃ বনকর্মীর পর এবার বন আধিকারিকের বিরুদ্ধে গাছ কেটে বিক্রির অভিযোগে শোরগোল। সেই বন আধিকারিককে ঘিরে বিক্ষোভ দেখান গ্রামবাসীরা। ঘটনায় একটি কাঠ চেরাই মিল সিল করেছে বন দপ্তর। ঘটনাটি ঘটেছে শালবনী ব্লকের গোদাপিয়াশাল রেঞ্জের কোটালকুলি এলাকায়।

জানা গিয়েছে, ওই এলাকায় একটি ভূমি দপ্তরের জায়গা রয়েছে। সেখানে বেশকিছু ইউক্যালিপটাস গাছ ছিল। বর্তমানে ওই জায়গাটি বনদপ্তরকে হস্তান্তর করা হয়েছে। সেখানে নতুন করে বৃক্ষরোপণ করবে বন দপ্তর। তার আগে ওই ইউক্যালিপটাস গাছগুলি কাটা হয়। সেই গাছের মোটা অংশ শালবনীর একটি কাঠ চেরাই মিলে পাচার হয় বলে অভিযোগ। তারপরেই গ্রামবাসীদের মধ্যে ক্ষোভ সৃষ্টি হয়। বৃহস্পতিবার বিকেলে একটি ট্রাক্টর আটকে বিক্ষোভ দেখায় গ্রামবাসীরা। ঘটনাস্থলে পৌঁছায় গোদাপিয়াশাল রেঞ্জ আধিকারিক অশোক সাহা। রাত পর্যন্ত তাঁর সঙ্গে চলে তর্ক-বিতর্ক।

গ্রামবাসীদের একাংশের অভিযোগ, রেঞ্জ আধিকারিক ওই গাছগুলি কেটে, মিলে বিক্রি করে দিচ্ছে। যদিও অভিযোগ অস্বীকার করেছেন রেঞ্জ আধিকারিক অশোক সাহা। তিনি বলেন, "ওই জায়গাটি ভূমি দপ্তর থেকে বনদপ্তরে স্থানান্তরিত হয়েছে। তাতে নতুন করে বৃক্ষরোপণ হবে। চারিদিকে বেড়া দেওয়ার জন্য ওখানে থাকা ইউক্যালিপটাস গাছ কেটে খুঁটি করা হয়েছে। যা ওখানেই পড়ে রয়েছে। কোনো গাছ বিক্রি করা হয়নি। পুরোটাই গ্রামবাসীদের সঙ্গে আলোচনা করে করা হয়েছে।"

শালবনীর চকতারিনী এলাকায় থাকা যে কাঠ চেরাই মিলটির বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলছেন গ্রামবাসীরা, সেই মিলটিকে সিল করার পাশাপাশি ৬০-৭০ টি বিভিন্ন গাছের গুঁড়ি (লগ) বাজেয়াপ্ত করেছে আড়াবাড়ি রেঞ্জ। এর আগেও বেআইনিভাবে চলা ওই মিলটি সিল করে দেওয়া হয়েছিল বনদপ্তরের পক্ষ থেকে। স্থানীয়দের অভিযোগ, ওখানে ২০০-র বেশি ইউক্যালিপটাস গাছ ছিল। সেখান থেকে গাছের মোটা অংশগুলি গাড়িতে করে পাচার হয়ে গিয়েছে এবং ডালাপালা গুলিও যারা গাছ কেটেছে তারা নিয়ে নিয়েছে। অথচ স্থানীয় বিট অফিসার কিছুই জানেন না বলে আমাদের জানিয়েছেন। সূত্রের খবর, গোদাপিয়াশাল রেঞ্জ আধিকারিকের সঙ্গে বিট অফিসারের মনমালিন্য রয়েছে।

তবে ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে বনদপ্তর। মেদিনীপুর বনবিভাগের ডিএফও দীপক এম বলেন, "ওখানে একটি বেআইনি কারবার হয়েছে বলে শুনেছি। ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে। শালবনীর একটি কাঠ চেরাই মিল সিল করে বেশ কিছু গুঁড়ি (লগ) বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে।" উল্লেখ্য, কয়েক মাস আগে ভাদুতলা রেঞ্জ এলাকায় বেআইনিভাবে গাছ বিক্রির অভিযোগ ওঠে এক বনকর্মীর বিরুদ্ধে। তারপরেই গোদাপিয়াশালের ঘটনায় শোরগোল পড়েছে জেলায়। 

Add 1