দেবী লক্ষ্মীর কৃপা দৃষ্টি পেতে আজ কোজাগরী লক্ষ্মী পূজার উপসে মেনে চলুন এই দারুন নিয়ম

১৬ অক্টোবর, বুধবার, কোজাগরী পূর্ণিমা তিথিতে দেবী লক্ষ্মীর আরাধনা অনুষ্ঠিত হবে। এই দিন অধিকাংশ বাড়িতে লক্ষ্মীপুজো হবে, যা সুখ-শান্তি ও আর্থিক উন্নতির প্রার্থনার প্রতীক।

author-image
Debapriya Sarkar
New Update

নিজস্ব প্রতিবেদন : ১৬ অক্টোবর, বুধবার, কোজাগরী পূর্ণিমা তিথিতে দেবী লক্ষ্মীর আরাধনা অনুষ্ঠিত হবে। এই দিন অধিকাংশ বাড়িতে লক্ষ্মীপুজো হবে, যা সুখ-শান্তি ও আর্থিক উন্নতির প্রার্থনার প্রতীক। "কোজাগরী" শব্দের অর্থ "যে রাত জাগে," এবং কথিত আছে, রাতভর জেগে লক্ষ্মীর আরাধনা করলে সুখ-সমৃদ্ধি লাভ হয়।

publive-image

উপবাস ও স্বাস্থ্য সচেতনতা

এই পুজো উপলক্ষে অনেক রমণী উপবাস করেন। উপবাসের সময়ে শরীরের যত্ন নেওয়া অত্যন্ত জরুরি। চিকিৎসক ড. শঙ্খ সেন উপবাসের সময় ডিহাইড্রেশন এড়াতে কিছু টিপস দিয়েছেন:

1. প্রচুর জল পান করুন: উপবাসের সময় ডিহাইড্রেশনের সমস্যা দেখা দেয়। তাই প্রচুর জল পান করতে হবে। অল্প অল্প করে বারবার জল খাওয়া ভালো। এতে শরীর সুস্থ থাকবে এবং অসুস্থ হওয়ার ঝুঁকি কমবে।

2. ডাবের জল ও ফলের রস: এই সময় ডাবের জল বা নারকেলের জল খাওয়া যেতে পারে। এছাড়াও, ফলের রস পানের মাধ্যমে শরীরে প্রয়োজনীয় পুষ্টি পাওয়া যায়।

 

publive-image

3. শারীরিক পরিশ্রম সীমিত করুন: উপবাসের সময় শরীরকে অতিরিক্ত চাপ না দেওয়া ভালো। সব কাজ অল্প অল্প করে করুন এবং বেশি পরিশ্রম করবেন না।

4. ভাজা খাবার এড়ানো: উপবাসের পর খালি পেটে ভাজা খাবার খাওয়া উচিত নয়, কারণ এতে শারীরিক জটিলতা দেখা দিতে পারে। তাই স্বাস্থ্যকর ও সহজে পাচ্য খাবার খাওয়া ভালো।

 

dva

লক্ষ্মীপুজোর সময়সূচী :

গুপ্তপ্রেস পঞ্জিকা অনুযায়ী, পূর্ণিমা তিথি ১৬ অক্টোবর সন্ধ্যা ৭টা ৪২ মিনিট ৩৭ সেকেন্ডে শুরু হবে এবং ১৭ অক্টোবর বিকেল ৫টা ১৭ মিনিট ৩৬ সেকেন্ডে শেষ হবে। বিশুদ্ধ সিদ্ধান্ত পঞ্জিকার মতে, কোজাগরী পূর্ণিমা তিথি বুধবার রাত ৮টা ৪১ মিনিটে শুরু হবে এবং বৃহস্পতিবার বিকেল ৪টে ৫৬ মিনিটে শেষ হবে।

পূর্ববঙ্গবাসীর মধ্যে এই পুজোর একটি বিশেষ গুরুত্ব রয়েছে। কোজাগরী লক্ষ্মীপুজোর মাধ্যমে নাম, ধন, যশ ও খ্যাতি প্রাপ্তির জন্য প্রার্থনা করা হয়। আজকাল, বহু বাড়িতে এবং বারোয়ারী কমিটিতেও এই পুজোর আয়োজন করা হয়।

lakshmi-panchami

সাধারণভাবে, লক্ষ্মীপুজো কেবল একটি ধর্মীয় অনুষ্ঠান নয়, বরং এটি একটি সামাজিক এবং সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যও। এই পুজোর মাধ্যমে মানুষ একত্রিত হয় এবং একে অপরের সুখ-শান্তির জন্য প্রার্থনা করে। স্বাস্থ্যবিধি মেনে উপবাস ও পুজো করার মাধ্যমে দেবীর কৃপা লাভের আশা করা হয়।