জলমগ্ন জাতীয় সড়ক, জীবনের ঝুঁকি নিয়েই চলছে যাতায়াত

বন্যা পরিস্থিতি জেলা জুড়ে।

author-image
Adrita
আপডেট করা হয়েছে
New Update
দ্দ

নিজস্ব সংবাদদাতা, পাঁশকুড়াঃ বন্যা কবলিত গোটা এলাকা। পাঁশকুড়া শহরে বন্যার ভয়াবহ পরিস্থিতি তৈরি হয়ে রয়েছে। কংসাবতী নদীর জল দিনের পর দিন বেড়েই চলেছে। যার ফলে এই মুহূর্তে জাতীয় সড়কের ওপর দিয়ে বইছে বন্যার জল, আর সেই জল পেরিয়েই যাতায়াত করতে হচ্ছে পথচারীদের। যে কোনও মুহূর্তেই ঘটে যেতে পারে দুর্ঘটনা, এমনটাই আশঙ্কা করছেন পথচারীরা।  

পাশাপাশি বিভিন্ন কারখানা প্রায় জলের তলায়। সেই জল পেরিয়েই কাঠের আসবাবপত্র বের করছেন কারখানার কর্মচারীরা। বন্যার জলের ফলে মহা সমস্যায় পড়েছেন কাঠের ব্যবসায়ীরা। জলে পচে গিয়েছে কাঠ। উল্লেখ্য, পাঁশকুড়ায় যে ভয়াবহ বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে তা কবে কমবে সেই অপেক্ষায় রয়েছে পাঁশকুড়াবাসী।

এ ক্ষেত্রে উল্লেখ্য, গতকাল পাঁশকুড়ার বন্যা পরিদর্শনে এসেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং বিজেপি নেতা সুকান্ত মজুমদার। বন্যা পরিস্থিতি পরিদর্শনে গিয়ে ফের একবার ডিভিসি এবং কেন্দ্রীয় সরকারকে আক্রমণ করলেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পাঁশকুড়ার একাধিক এলাকা ঘুরে দেখে এবার তিনি বললেন, 'ডিভিসির সঙ্গে ভবিষ্যতে সম্পর্ক রাখা হবে কিনা ভাবতে হবে। কেন্দ্র ড্রেজিংয়ে নজর দিচ্ছে না। পরিকল্পনা করে বাংলাকে ডোবানো হচ্ছে। এটা বৃষ্টির বন্যা নয়।  ঝাড়খন্ড বিহার থেকে জল ছাড়া হয়েছে। বারবার দুই রাজ্য থেকে ছাড়া জলের প্লাবিত হচ্ছে বাংলা। এটা অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক'।

এ ক্ষেত্রে উল্লেখ্য যে, রাজ্যের বন্যা পরিস্থিতি নিয়ে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সুকান্ত মজুমদার বলেছেন, " প্রতি বছরই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন এটি একটি মানবসৃষ্ট বন্যা। কিন্তু প্রশ্ন হল গত বছরে সরকার কী পরিকল্পনা করেছে ? কেউ কি দেখেছে ? বন্যা এড়াতে কী প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে ? আমাদের সরকারের কোনো দূরদৃষ্টি নেই। "

প্রসঙ্গত, প্লাবিত এলাকাগুলিতে শুকনো খাবার, ত্রিপল, ত্রাণ কিটসহ নিত্য প্রয়োজনীয় বিভিন্ন জিনিস বিতরণ করা হচ্ছে।