নিজস্ব সংবাদদাতা: চারদিকে নদী ও সমুদ্রের বেড়াজালে ঘেরা রয়েছে এলাকা। এসবের পেছনে যে একটা শ্রেণীর স্বার্থান্বেষী মানুষের প্রচ্ছন্ন ভূমিকা রয়েছে তা কান পাতলেই শোনা যাচ্ছে সর্বত্র। পশ্চিম-পূর্ব মেদিনীপুর জেলার প্রধান নদী হিসেবে পরিচিত কেলেঘাই। নদীর সুবিধে কাজে লাগিয়ে জেলা জুড়েই যত্রতত্র গজিয়ে উঠেছে অপরিকল্পিত মাছের ভেড়ী। যার মাসুল গুনতে হচ্ছে জেলাবাসীদেরই। মাছ চাষে উৎসাহ দেওয়ার নামে জেলার ভৌগোলিক চিত্রটাই বদলে গিয়েছে চুপিসারে।
সবং ও নারায়ণগড় ব্লক এলাকায় মাছ চাষের আড়ালে প্রকাশ্য দিবালোকে আবার কখনও রাতের অন্ধকারে ইলেকট্রিক পাম্প চালিয়ে কেলেঘাই নদী থেকে তোলা হচ্ছে জল। যার ফলে শুকনো হতে বসেছে নদী। ভারসাম্য হারিয়ে যেতে বসেছে প্রকৃতির। নদীর স্বাভাবিক গতিও নষ্ট হচ্ছে। গত কয়েক বছরে এই প্রবণতা বেড়েছে মাত্রাতিরিক্ত হারে।
এই নিয়ে পরিবেশপ্রেমী থেকে শুরু করে নদী গবেষকেরা তাদের মন্তব্য তুলে ধরেছেন। তাদের দাবি, কিছু সুবিধাবাদী ব্যবসায়ীর জন্য কেলেঘাই নদীর পাড়েই অবৈধ ভেড়ি তৈরি হয়েছে। এবং ভেড়িতে মাছ চাষের জন্য নদী থেকে তুলে নেওয়া হচ্ছে জল। তাতে নদীর জল শুকিয়ে যাচ্ছে এবং জীব বৈচিত্র নষ্ট হচ্ছে।
শুধু তাই নয় ভেড়ির যে নোংরা রাসায়নিক জল রয়েছে তা পুনরায় আবার নদীতে ফেলা হচ্ছে। যার ফলে নদীর জলও দূষণ হচ্ছে। প্রশাসনকে দেখার জন্য অনুরোধ জানিয়েছেন পরিবেশপ্রেমীরা।
/anm-bengali/media/media_files/2025/02/21/czeeetgfty-508531.png)
তবে এ বিষয়ে ভেড়ি মালিকদের দাবি, নদী থেকে ভেড়িতে মাছ চাষের জন্য জল নেওয়া হচ্ছে না। ভেড়ির জলটি কেলেঘাই নদীতে ছেড়ে পাম্প দিয়ে অন্য ভেড়িতে পাঠানো হচ্ছে। এখন তো ধান থেকে শুরু করে সব জিনিসেই রাসায়নিক সার ব্যবহার করা হচ্ছে। তাহলে অসুবিধা কোথায়?
অন্যদিকে খড়গপুর মহকুমা শাসক পাতিল যোগেশ অশোক রাও বলেন, এই বিষয় নিয়ে সেচদপ্তর আরো ভালো করে বলতে পারবে। এই বিষয় নিয়ে সেচদপ্তরের সঙ্গে আলোচনা করে বিষয়টি পরে জানানো হবে।
/anm-bengali/media/media_files/2025/02/21/czaswersw-941579.png)