এগরা, পূর্ব মেদিনীপুর : বছরের প্রথম দিন পিকনিকে, বন্ধুবান্ধবদের নিয়ে পিকনিকে বসেছিল সস্ত্রীক এক যুবক। সেই আসরে মদ্যপানের পর বন্ধুদের সঙ্গে বচসা বাঁধে। এর জেরে যুবককে বেধড়ক মারধর করে খুন করার পর ঘটনাস্থল থেকে চম্পট দিয়েছে মৃতের স্ত্রী সহ তাঁর সঙ্গীরা। বুধবার রাতে চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে এগরা পুওরসভার ১নং ওয়ার্ড এর দিঘা মোড় সংলগ্ন এলাকায়। বৃহস্পতিবার বেলার দিকে খবর পেয়ে এগরা থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে রক্তাক্ত মৃতদেহটিকে উদ্ধার করে নিয়ে গিয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে মৃত ব্যক্তির নাম রবি সিং (৪৫)। দেহটিকে ময়নাতদন্তে পাঠানোর পাশাপাশি এই ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, এদিন সকালে রাস্তার অদূরে ওই রক্তাক্ত মৃতদেহটিকে পড়ে থাকতে দেখেন এলাকাবাসীরা। এমন গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় এভাবে মৃতদেহ পড়ে থাকতে দেখে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে এলাকায়। খবর পেয়েই এগরা থানার পুলিস দ্রুত ঘটনাস্থলে ছুটে আসে। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশ জানিয়েছে, বেশ কয়েক ঘন্টা আগেই ওই ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে। তাঁর শরীরে একাধিক জায়গায় আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। তবে কিভাবে তাঁর মৃত্যু হয়েছে তা এখনও স্পষ্ট করে জানা যায়নি বলে এগরা থানার পুলিশ জানিয়েছে।
স্থানীয় বাসিন্দা রাকেশ জানা জানিয়েছেন, এই এলাকায় বেশ কয়েক বছরে ধরেই স্ত্রীকে নিয়ে বসবাস করত মৃত রবি। বোতল কুড়ানো সহ খাটাখাটনির কাজ করত এই দম্পতি। গতকাল রাতে এখানে পিকনিকের আসর বসিয়েছিল বলে শুনেছি। আজ সকালে ওই ব্যক্তির মৃতদেহ পড়ে থাকতে দেখা যায়। আমাদের ধারনা, ওই পিকনিকের আসরে বচসা থেকেই মারপিট হয়েছিল। সেখানেই ওই ব্যক্তিকে মেরে ফেলেছে। তবে এই ঘটনার পর থেকে এলাকায় মৃতের স্ত্রী সহ অন্যদের দেখা মেলেনি”।
এগরা মহকুমা পুলিশ আধিকারীক দেবীদয়াল কুন্ডু জানিয়েছেন, "শহরের পাশে ফাঁকা মাঠে বেশ কিছু উদ্বাস্তু পরিবার ঝুপড়ি খাটিয়ে বসবাস করে। গতকাল রাতে ওই মাঠে একটি পিকনিক হয়েছিল। সেখান থেকে খাওয়ার দাওয়ার এই উদ্বাস্তু পরিবারগুলিকেও দেওয়া হয়েছিল। খাওয়া দাওয়ার পর নিজেদের মধ্যে কিছু ঝামেলা বাঁধে। এরপরেই ওই ব্যক্তিকে পিটিয়ে মেরে ফেলা হয়েছে বলে প্রাথমিক ভাবে মনে করা হচ্ছে"। তিনি জানান, "এই ঘটনার পর মৃতের স্ত্রী ও এক ব্যক্তির খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না। ইতিমধ্যে তাঁদের সন্ধানে নেমেছে পুলিশ। কিভাবে এই ঘটনা তা জানতে তদন্ত শুরু হয়েছে"।