নিজস্ব সংবাদদাতা: ডেঙ্গু মোকাবেলায় পশ্চিমবঙ্গ নতুন কৌশল গ্রহণ করছে। রাজ্যে ডেঙ্গুর সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে, যার ফলে কর্তৃপক্ষকে পদক্ষেপ নিতে হচ্ছে। এই প্রচেষ্টা মশা নিয়ন্ত্রণ এবং জনসচেতনতা তৈরিতে কেন্দ্রীভূত। স্বাস্থ্য বিভাগ এই উদ্যোগের নেতৃত্ব দিচ্ছে, ভাইরাসের ছড়িয়ে পড়া কমাতে লক্ষ্য রাখছে।
স্থানীয় সম্প্রদায় এই প্রচেষ্টায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। বাসিন্দাদের স্থবির জল নির্মূল করার জন্য উৎসাহিত করা হচ্ছে, যা মশার প্রজননস্থল হিসেবে কাজ করে। প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা সম্পর্কে জনগণকে অবহিত করার জন্য শিক্ষামূলক প্রচারণাও চালানো হচ্ছে।
/anm-bengali/media/media_files/vXUfxFei3MFSGckRbteO.jpg)
মশার জনসংখ্যা পর্যবেক্ষণের জন্য রাজ্য উন্নত প্রযুক্তি ব্যবহার করছে। ড্রোন এবং জিআইএস ম্যাপিং উচ্চ ঝুঁকিপূর্ণ এলাকা চিহ্নিত করতে সাহায্য করে। এই ডেটা লক্ষ্যবস্তু নির্দেশিত হস্তক্ষেপের জন্য ব্যবহার করা যায়, নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থাকে আরও কার্যকর করে তোলে।
পশ্চিমবঙ্গের হাসপাতাল সম্ভাব্য প্রাদুর্ভাবের জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছে। তারা প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম সংগ্রহ করছে এবং নিশ্চিত করছে যে চিকিৎসা কর্মীরা ডেঙ্গু কেস দক্ষতার সাথে পরিচালনা করার জন্য প্রশিক্ষিত। এই প্রস্তুতি সময়োচিত চিকিৎসা প্রদান এবং মৃত্যুর হার কমাতে লক্ষ্য রাখে।
সরকার এই কৌশল বাস্তবায়ন করার জন্য বিভিন্ন সংস্থার সাথে কাজ করছে। এনজিও এবং স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের সাথে সহযোগিতা একটি সমন্বিত পন্থা নিশ্চিত করে। এই অংশীদারিত্বের লক্ষ্য রাজ্যের ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণ প্রচেষ্টার কার্যকারিতা বাড়ানো।
/anm-bengali/media/media_files/LusAP9LtXQXvMFzahEpV.jpg)
পশ্চিমবঙ্গের সক্রিয় পদক্ষেপ ডেঙ্গুর বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্য তার প্রতিশ্রুতির প্রমাণ। সম্প্রদায়কে জড়িত করে, প্রযুক্তির সুবিধা গ্রহণ করে এবং স্বাস্থ্যসেবা প্রস্তুতি নিশ্চিত করে, রাজ্য এই রোগের ছড়িয়ে পড়া কার্যকরভাবে রুখে দিতে চায়।