হরি ঘোষ, পাণ্ডবেশ্বর : দীর্ঘদিন ধরে কোলিয়ারিতে কর্মরত বেসরকারি নিরাপত্তা রক্ষীরা । বেসরকারি সংস্থার হয়ে কোলিয়ারির সম্পদ রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্বে ছিলেন এই নিরাপত্তা রক্ষীরা। ইতিমধ্যেই বেশ কয়েকবার এই বেসরকারি নিরাপত্তা রক্ষীদের আর কাজে রাখা হবে না, এই মর্মে নোটিশ ধরিয়েছিল ইসিএল। পরে শ্রমিক সংগঠন ও বেসরকারি সরকারি নিরাপত্তা রক্ষীদের চাপে সিদ্ধান্ত বদল করে ইসিএল। তিন মাসের জন্য তাদের বহাল রাখা হয় বলে সূত্র মারফত জানা যায় । ১ সেপ্টেম্বর তিন মাসের সময়সীমা শেষ হচ্ছে, আর সেদিন থেকেই থাকছে না বেসরকারি নিরাপত্তা রক্ষীদের কাজ। একেবারে পুজোর মুখেই কাজ চলে যাওয়ার আশঙ্কায়, আশঙ্কিত বেসরকারি নিরাপত্তা রক্ষীরা। সমগ্র অন্ডাল, পাণ্ডবেশ্বর ও লাউদোহা এলাকায় প্রায় দু হাজারের বেশি বেসরকারি নিরাপত্তা রক্ষী কাজ করছেন ইসিএল এর বিভিন্ন কোলিয়ারিতে।
পুনঃরায় তাদের নিজেদের কাজে বহাল রাখতে হবে, এই দাবি রেখে শুক্রবার সকাল থেকেই পাণ্ডবেশ্বর অন্ডাল ও লাউদোহা এলাকার বেশ কিছু প্লেয়ারের কাজ বন্ধ রেখে বিক্ষোভে সামিল হল বেসরকারি নিরাপত্তারক্ষীরা। সকাল থেকে প্রাপ্ত খবর অনুযায়ী, বিক্ষোভের জেরে ইসিএল এর জামবাদ, পাণ্ডবেশ্বরের বাঁকলা এরিয়ার কুমারডিহি এ, এ বিপিট এছাড়া ও লাউদোহার ঝাঁঝরা এরিয়ার এমআইসি কোরিয়ারি ও বন্ধ রয়েছে। তাদের এই আন্দোলনে তাদের পাশে দাঁড়িয়েছে সমস্ত শ্রমিক সংগঠন। তৃণমূলের শ্রমিক সংগঠন আইএনটিটিইউসি,কেকেএসসি ছাড়াও তাদের পাশে রয়েছে এইচএমএস শ্রমিক সংগঠনের লোকেরা। শ্রমিক সংগঠন এইচএমএস এর বাঁকলা এরিয়া সেক্রেটারি মিন্টু ব্যানার্জি জানান, ''এভাবে হুট করে কারো কাজ কেড়ে নেওয়া যায় না। যাতে করে বেসরকারি নিরাপত্তা রক্ষীরা তাদের কাজে বহাল থাকেন এই মর্মে তাদের সংগঠনের তরফে ইসিএলের উচ্চতর আধিকারিকদের জানানো হয়েছে। পাণ্ডবেশ্বর এরিয়া অফিসের গেট বন্ধ করে বিক্ষোভরত রাজেশ কুমার রায়, রিন্টু ভট্টাচার্য ও শেখ রবিউলরা জানান, ''পাণ্ডবেশ্বর এরিয়ায় ২০০-র অধিক বেসরকারি নিরাপত্তা রক্ষী রয়েছে।'' এভাবে পুজোর মুখে হঠাৎ করে কাজ বন্ধ করা যাবে না বলে দাবি তাদের। তাদের কাজ পুনঃরায় তাদের ফিরিয়ে দিতে হবে নইলে আজকের পর থেকে আন্দোলন আরোও বৃহত্তর আকার নেবে বলে হুঁশিয়ারি বেসরকারি নিরাপত্তা রক্ষীদের। যদিও এই ব্যাপারে ইসিএল আধিকারিকদের কোন প্রতিক্রিয়া মেলেনি।
বিক্ষোভরত পাণ্ডবেশ্বর এরিয়ার বেসরকারি নিরাপত্তা রক্ষী ইউনিয়নের এরিয়া সেক্রেটারি রাজেশ রায় জানান, সকাল থেকে বিক্ষোভের জেরে অবশেষ কর্তৃপক্ষ তাদের কাজের সময়সীমা তিন মাস বাড়িয়েছে এবং এই তিন মাসের মধ্যেই নতুন করে তাদের কাজের জন্য টেন্ডার হবে বলে আশ্বাস দিলে বিক্ষোভ উঠে যায়।