নিজস্ব প্রতিবেদন : হুগলির কোন্নগর কানাইপুর পঞ্চায়েতের মাতৃমন্দির এলাকায় স্ত্রীর খুনের ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। রাজমিস্ত্রি প্রসেনজিৎ বারুই তার পাঁচ বছরের সন্তানের সামনে স্ত্রী মৈত্রী বারুইকে গুলি করে হত্যা করেছে বলে অভিযোগ। পুলিশ ঘটনার পর স্বামী প্রসেনজিৎকে গ্রেফতার করেছে। ঘটনাটি এলাকার মানুষের মধ্যে আতঙ্ক সৃষ্টি করেছে।
স্থানীয় সূত্রে খবর, ৬ বছর আগে বিয়ে হয়েছিল মৈত্রী ও প্রসেনজিতের। তাদের রয়েছে পাঁচ বছরের ছোট্ট একটি সন্তান। আজ বিকেলে ঘরের মধ্যে বসে খাচ্ছিলে মৈত্রী। সেই সময় হঠাৎ করে ঘরে ঢুকে গুলি চালায় প্রসেনজিৎ। আহত মহিলাকে নিকটবর্তী কানাইপুর গ্রামের হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকেরা তাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। ঘটনাটিকে কেন্দ্র করে এলাকায় ছড়িয়েছে চাঞ্চল্য
শ্বশুর পরিমল বারুই জানিয়েছেন, ঘটনার সময় মৈত্রী এবং প্রসেনজিৎ বাড়িতে ভাত খাচ্ছিলেন। তখন প্রসেনজিৎ বাথরুম থেকে একটি বন্দুক নিয়ে আসে এবং বাজি ফাটানোর মতো করে বন্দুকটা চালায়। পরিমল বাবু বলেন, সে অর্থাৎ প্রসেনজিৎ জানতো না এটি খেলনার বন্দুক না আসল। বন্দুকটি মৈত্রীর কাছে দেখানোর জন্য নিয়ে এসেছিল প্রসেনজিৎ। হঠাৎ করেই আওয়াজ হয় এবং তিনি দৌড়ে এসে দেখেন মৈত্রীর গলা থেকে রক্ত বেরোচ্ছে। তড়িঘড়ি তাকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসকরা মৃত ঘোষণা করেন। এ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে উত্তরপাড়া থানার পুলিশ, এবং তারা খতিয়ে দেখছে অভিযুক্তের কাছে আগ্নেয়াস্ত্রটি কোথা থেকে এসেছে।