নিজস্ব সংবাদদাতা : অন্ধ্রপ্রদেশের আন্নামায়া জেলা থেকে একটি চাঞ্চল্যকর ঘটনা সামনে এসেছে, যেখানে কুয়েতে অভিবাসী শ্রমিক হিসেবে কাজ করা এক বাবা, তার ১২ বছর বয়সী মেয়েকে যৌন নিপীড়নের অভিযোগে তার ৫৯ বছর বয়সী শশুরকে হত্যা করেছেন। এই ঘটনা পুলিশ কর্তৃক সঠিক ব্যবস্থা না নেওয়ার পরিপ্রেক্ষিতে ঘটে, যা এলাকায় তোলপাড় সৃষ্টি করেছে।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, মেয়েটি তার বাবা-মাকে জানায় যে, তার শশুর তাকে যৌন নিপীড়ন করেছে। মেয়েটির মা স্থানীয় থানায় অভিযোগ দায়ের করেন, কিন্তু অভিযোগ অনুযায়ী পুলিশ অভিযুক্তের বিরুদ্ধে কোনো কার্যকর ব্যবস্থা নেয়নি এবং উভয় পক্ষকে বিষয়টি সৌহার্দ্যপূর্ণভাবে সমাধান করতে বলেছিল। পুলিশ কর্তৃপক্ষের নিষ্ক্রিয়তা দেখে ক্ষুব্ধ হয়ে বাবা নিজে ব্যবস্থা নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন।
তিনি কুয়েত থেকে ভারতে ফিরে এসে অভিযুক্ত শশুরকে হত্যা করেন এবং তারপর আবার কুয়েতে ফিরে যান। হত্যার পর পুলিশ একটি সন্দেহজনক মৃত্যুর মামলা নথিভুক্ত করেছে। তবে সম্প্রতি, ওই বাবা একটি ভিডিও প্রকাশ করেছেন, যেখানে তিনি তার কর্মকাণ্ডের ব্যাখ্যা দিয়েছেন। ভিডিওতে তিনি জানান, তিনি এবং তার স্ত্রী কুয়েতে কাজ করছিলেন, এবং মেয়েটি গ্রামে তার মায়ের আত্মীয়দের সাথে ছিল, তখনই এই ঘটনা ঘটে।
পুলিশের অবহেলার কারণে ক্ষুব্ধ বাবা মেয়ের জন্য ন্যায়বিচার চাইতে নিজের হাতে ব্যবস্থা নেন এবং পরে জানান যে, তিনি শীঘ্রই পুলিশের কাছে আত্মসমর্পণ করবেন। এই ঘটনা আইন এবং পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে এবং ন্যায়বিচারের জন্য ব্যক্তিগত ব্যবস্থা নেওয়ার এক চরম দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে।