ফসল বাঁচাতে গিয়ে হাতির হানায় মৃত্যু কৃষকের, শোকের ছায়া এলাকায়

ঘটনায় শোকের ছায়া নেমেছে এলাকায়।

author-image
Adrita
New Update
কজবভ

নিজস্ব সংবাদদাতা, পশ্চিম মেদিনীপুরঃ দিন দশেক আগে হস্তি পালে এক শাবকের জন্ম হয়েছে। শাবককে রক্ষা করতে কড়া নিরাপত্তার বেষ্টনী হাতিদের। মানুষজন দেখলেই ক্ষিপ্ত হয়ে উঠছে। অন্যদিকে হাতির পালের হানায় ক্ষতিগ্রস্ত বিঘার পর বিঘা ধান জমি। একে বৃষ্টিতে ব্যাপক হারে ক্ষতি জমির ধানসহ অন্যান্য ফসল। তার উপর হাতি তাণ্ডব। সেই সম্বলটুকু জমি থেকে বাড়িতে তোলার চেষ্টায় রাত পাহারা দিচ্ছেন গ্রামবাসীরা।

এমনই পরিস্থিতিতে জমির ফসল বাঁচাতে গিয়ে হাতি হানায় মৃত্যু হল এক কৃষকের। ঘটনাটি ঘটে শনিবার রাত এগারোটা নাগাদ পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার গোয়ালতোড়ের পিংবনী এলাকায়। মৃত কৃষকের নাম সুজিত দেবসিংহ (৩৯)। বাড়ি ওই এলাকার কলাইমুড়িতে। বনদপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, দশটি হাতির একটি পাল ওই এলাকার জঙ্গলে ডেরা বাঁধে। সন্ধ্যাবেলা খাবারের খোঁজে নেমে পড়ে কৃষি জমিতে। পিংবনী এলাকায় কৃষি জমিতে নামলে কৃষকরা হাতিগুলিকে তাড়াতে যায়। সেই সময় একটি হাতি তাড়া করলে বাকিরা পালাতে সক্ষম হলেও জমিতে পা পিছলে পড়ে যান সুজিত। সেই সময় তাকে শুঁড়ে ধরে আছাড় মারে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছায় বনকর্মীরা। তাকে উদ্ধার করে প্রথমে কেয়াকোল গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখান থেকে মেদিনীপুর মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে নিয়ে এলে চিকিৎসকরা মৃত বলে ঘোষণা করেন। ঘটনায় শোকের ছায়া নেমেছে এলাকায়।

হাতি সরানোর দাবিও তুলছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। গোয়ালতোড় রেঞ্জ আধিকারিক বাবলু মান্ডি বলেন, "দিন দশেক আগে ওই হাতির পালে একটি শাবকের জন্ম হয়েছে। মানুষজন দেখলেই তারা ক্ষিপ্ত হয়ে তাড়া করে নিয়ে যাচ্ছে। কৃষকরা ফসল বাঁচাতে হাতির কাছাকাছি চলে যাওয়ায় একটি হাতি তাড়া করলে দুর্ঘটনাটি ঘটে।" সরকারি নিয়ম অনুসারে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার আশ্বাস দিয়েছে বনদপ্তর।

job digbijoy da