নিজস্ব সংবাদদাতা: দুর্নীতি বা অপরাধ করলে কাউকে রেয়াত করা হবে না মাঝে মাঝেই হুঙ্কার দেন তৃণমূল সুপ্রিমও। এবার, এক নয় একাধিক ব্যক্তির সাথে লক্ষ লক্ষ টাকা আর্থিক প্রতারণা করে গ্রেপ্তার হল দুর্গাপুর নগর নিগমের ৩২ নম্বর ওয়ার্ডের প্রাক্তন পুরপিতা মানস রায় ও তার পুত্র অভ্রনীল রায়। ধৃতদের সাথে কোন রাজনৈতিক যোগ নেই, দাবি খোদ আসানসোল দুর্গাপুর পুলিশ কমিশনারেটের ডেপুটি কমিশনার অভিষেক গুপ্তার।
ধৃতদের পুলিশি হেফাজত চেয়ে দুর্গাপুর মহকুমা আদালতে পেশ করার সময় বিজেপি নেতৃত্বের বিক্ষোভের মুখেও পড়তে হয় প্রাক্তন পুরপিতা আর তাঁর ছেলেকে। এইসব লোককে প্রশ্রয় দেওয়া হবে না, পাল্টা তৃণমূল। ২০১৭ সাল থেকে ২০২২ পর্যন্ত দুর্গাপুরের ৩২ নম্বর ওয়ার্ডের পুরপিতা ছিলেন মানস রায়। তার বাড়ি দুর্গাপুরের গোপাল মাঠে। পুরপিতা হওয়ার পর থেকেই ছেলে অভ্রনীল রায়কে সঙ্গে নিয়ে এলাকায় বেশ প্রভাব বিস্তার করেছিলেন মানস রায়। কারোর কাছ থেকে কম্পিউটার কিনে টাকা না দেওয়ার, কারোর কাছে গাড়ি কিনে টাকা না দেওয়ার, কারোর কাছে মোবাইল কিনে টাকা না দেওয়ার মত অভিযোগ উঠেছিল। এই প্রতারণার সঙ্গে ছিল তার পুত্র অভ্রনীল রায়ও।
আবার মাঝে মধ্যে রাজ্যের মন্ত্রী, সাংসদদের নাম করেও লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়েছিলেন। সেই টাকা চাইতে গিয়ে হুমকির মুখেও পড়তে হয়েছে প্রতারিতদের বলেও উঠছে গুরুতর অভিযোগ। ২০২৪ সালে বেনাচিতির মনোজ কুমার সাউয়ের মোবাইল দোকান থেকে প্রায় ১ লক্ষ ৯২ হাজার টাকার দুটি মোবাইল কেনেন। ব্যাংক অ্যাকাউন্টে সেই টাকা পাঠিয়ে দেওয়ার নাম করে প্রতারণা করেন তারা। পড়ে সেই টাকা চাইতে গিয়ে হুমকির মুখে পড়তে হয় মনোজ কুমার সাউকে।
/anm-bengali/media/media_files/2025/02/19/B9xOYnuYRJJKl8O2ESbg.jpeg)
প্রতারণার শিকার হয়ে মনোজ কুমার সাউ সোমবার দুর্গাপুর থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগের ভিত্তিতে সোমবার রাতেই গ্রেপ্তার হয় প্রাক্তন কাউন্সিলর মানষ রায় ও তার ছেলে অভ্রনীল রায়।
এই ঘটনা প্রসঙ্গে বিজেপি বিধায়ক বলেন, “তৃণমূলের তো উপর থেকে নিচু পর্যন্ত দুর্নীতিতে ভরপুর। তৃণমূলের প্রাক্তন কাউন্সিলরও ক্ষমতার জোরে টাকা লুট করেছে। আর আসানসোল দুর্গাপুর পুলিশ কমিশনারেটের ডিসি পূর্ব অভিষেক গুপ্তা বলছেন ওর সাথে রাজনৈতিক কোন যোগ নেই। তৃণমূলের জেলা সভাপতি যে কথা বলেন সেই কথাই বলেছেন ডিসি। তৃণমূলকে বাঁচানোর চেষ্টা চলছে”।
সমালোচনায় সরব হয়ে এই ঘটনার প্রতিবাদ করেন জেলা কংগ্রেসের সভাপতি দেবেশ চক্রবর্তীও।
তৃণমূলের সহ-সভাপতি উত্তম মুখোপাধ্যায় এই মন্তব্যের পাল্টা প্রতিবাদ করেন এদিন।