নিজস্ব সংবাদদাতা, ঘাটালঃ গ্রাম পঞ্চায়েতের অ্যাম্বুলেন্স ফিরে পেতে লিখিত আবেদন পঞ্চায়েত প্রধানের। কিন্তু তা সত্ত্বেও ফিরিয়ে দেওয়া হচ্ছে না অ্যাম্বুলেন্স। জানা গিয়েছে যে, অ্যাম্বুলেন্সের নম্বরপ্লেটের সঙ্গে লেখা ছিল '' শ্রীযুক্ত শংকর দোলই মাননীয় বিধায়ক ও পরিষদীয় সচিব সেচ ও জলপথ। পশ্চিমবঙ্গ সরকার মহাশয় এর বিধায়ক এলাকার উন্নয়ন তহবিল হইতে এই অ্যাম্বুলেন্সটি মনসুকা এক গ্রাম পঞ্চায়েতের অনুকূলে প্রদত্ত হইল। ''
কিন্তু বর্তমানে সব লেখা মুছে দিয়ে এখন অ্যাম্বুলেন্সের গায়ে লেখা রয়েছে বালাজী অ্যাম্বুলেন্স। অ্যাম্বুলেন্সটি দাঁড়িয়ে রয়েছে ঘাটাল হাসপাতাল মোড় এলাকায়। গাড়িটির নম্বর WB 33 C 8188। সূত্রের খবর, ০১/০১/২০১৮ থেকে ০১/০১/২০২০ পর্যন্ত মাসিক ১০০০ টাকার বিনিময়ে মনসুকা এক গ্রাম পঞ্চায়েতের পার্বতীচক গ্রামের বাসিন্দা এবং পঞ্চায়েত সদস্য রাম পাল, গ্রাম পঞ্চায়েতের কাছ থেকে অ্যাম্বুলেন্সটি লীজ নিয়েছিলেন। কিন্তু বর্তমানেও তিনি ওই অ্যাম্বুলেন্সটি দখল করে আছেন। এখন প্রশ্ন উঠছে যে, ২০২০ সালে লীজ শেষ হওয়ার পরেও এখনো কিভাবে অ্যাম্বুলেন্সটির দখল করে রেখেছেন ওই ব্যক্তি ?
গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধানের অভিযোগ যে চুক্তি অনুযায়ী হাজার টাকাও রাম পাল পঞ্চায়েতে জমা করেননি। যার ফলে অ্যাম্বুলেন্সটি ফিরে পাওয়ার জন্য লিখিত আবেদনও করা হয়েছিল রামপালকে। কিন্তু সেই আবেদনের পাঁচ মাস কেটে গেলেও, এখনও পর্যন্ত তিনি গাড়ি ফিরিয়ে দেননি। এই বিষয়ে প্রতিক্রিয়া দিয়েছেন রামপাল। তার কথায়, ' অ্যাম্বুলেন্সটির মেনটেন্যান্স করার জন্য অনেক টাকা খরচা হয়েছে তার। তাই সেই খরচের টাকা না উঠলে তিনি গাড়িটি ফেরত দেবেন না। '
কিন্তু এখন আরও প্রশ্ন উঠছে যে, অ্যাম্বুলেন্সটির রামপালের হাত থেকে কিভাবে বালাজী অ্যাম্বুলেন্সের কাছে গেল ? বালাজি অ্যাম্বুলেন্স কোন চুক্তি পত্র ছাড়াই কিভাবে বছরের পর বছর গাড়িটি ব্যবহার করছে ?