নিজস্ব সংবাদদাতা: হাতির সামনে গিয়ে মোবাইলে ভিডিও তোলার চেষ্টা এক যুবকের। সেই মুহূর্তে তাড়া করে এলো দাঁতাল। কোনরকমে পালিয়ে বাঁচালেন প্রাণ। সেই ভিডিও ভাইরাল হতেই নড়েচড়ে বসলো বনদপ্তর। খোঁজ শুরু করেছে ওই যুবকের।
খড়গপুর বনবিভাগের এক আধিকারিক জানিয়েছেন, “ওই যুবকের খোঁজ শুরু করা হয়েছে। আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে”। জানা গিয়েছে, ১০-১২টি হাতি রয়েছে ওই দলে। বুধবার সকালে খেমাশুলি থেকে জটিয়ার জঙ্গলে যাওয়ার সময় এমনই দৃশ্য দেখা গিয়েছে।
হাতির সামনে গিয়ে মোবাইলে ছবি-ভিডিও তোলার নেশা যেন বেড়েই চলেছে। আর তাতে ঘটছে একাধিক দুর্ঘটনা। ঝাড়গ্রামে এমনই বেশ কয়েকজন ইউটিউবারদের বিরুদ্ধে খোঁজ শুরু করেছিল বনদপ্তর। যাদের কাজ ছিল জঙ্গলের ভেতরে ঢুকে হাতিদের বিরক্ত করে ভিডিও তোলা। সেই ভিডিও ইউটিউবে আপলোড করছিল।
বেশ কিছু ভিডিও বনদপ্তরের হাতে এসেছে। তারপরেই তাদের খোঁজ শুরু করে বনদপ্তর। জানাজানি হতেই ইউটিউব চ্যানেল ডিলিট করে দেয় তারা। তারপর থেকে হাতিদের বিরক্ত করে বা গতিপথে বাধা সৃষ্টি করে ভিডিও তোলার দৃশ্য দেখা যায়নি।
নতুন বছরের সকালে আবার সেই দৃশ্য দেখা গেল। বনদপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, ১০ থেকে ১২ টি হাতি কলাইকুন্ডার জটিয়ার জঙ্গল থেকে কংসাবতী নদী পেরিয়ে চাঁদড়ার উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছিল মঙ্গলবার রাতেই। কিন্তু নদী না পেরিয়ে পুনরায় জটিয়ার জঙ্গলের দিকে ফেরত যায়।
বুধবার সকালে খেমাশুলির পরে একটি মোরাম রাস্তা পেরোনোর সময় হাতি দেখতে ভিড় জমান অতি উৎসাহিত মানুষজন। তাদের মধ্যে এক যুবককে দেখা গেল মোবাইল হাতে নিয়ে হাতির কাছে গিয়ে ভিডিও করতে। তাকে দেখে তাড়া করে হাতির দল। কোনো রকমে দৌড়ে প্রাণ বাঁচায় ওই যুবক। সেই ভিডিও ভাইরাল হতেই কড়া পদক্ষেপের পথে খড়গপুর বনবিভাগ।