আনন্দপুরের জঙ্গলে প্রবেশ করবে হাতির দল? জাতীয় সড়ক আটকে দিল মশাল বাহিনী

সোমবার বিকেলেও ওই এলাকায় ফের দেখা গিয়েছে গজরাজদের।

author-image
Atreyee Chowdhury Sanyal
New Update
WhatsApp Image 2024-12-09 at 20.03.17

File Picture

নিজস্ব সংবাদদাতা: জাতীয় সড়ক পেরোলেই প্রবেশ করে যাবে আনন্দপুরের জঙ্গলে। বিশাল মশাল বাহিনী পাহারায় গোদাপিয়াশাল এলাকায় জাতীয় সড়কের উপর। কোনো ভাবেই আনন্দপুরের জঙ্গলে প্রবেশ করতে দেওয়া যাবে না‌। কিন্তু হাতির দলের অভিমুখ জাতীয় সড়ক পেরিয়ে আনন্দপুরের জঙ্গলের দিকেই।

এর আগেও ওই জঙ্গলে হাতির দল প্রবেশ করেছিল। জঙ্গলের পর পুরো কৃষি জমি এবং ঘরবাড়ি। আর কোনো জঙ্গল নেই। ফলে একই পথে আবার ফেরত আনতে নাজেহাল অবস্থা হয়েছিল বনদপ্তরের। যে কারণে আগে থেকেই সতর্ক বনকর্মীরা। 

গত শুক্রবার ঝাড়গ্রাম থেকে ৫০ টি হাতির একটি দল প্রবেশ করে মেদিনীপুর সদরের চাঁদড়ার জঙ্গলে। রাতেই চলে যায় ভাদুতলার রেঞ্জের কালিবাসা এলাকায়। পরের দিন অর্থাৎ রবিবার ভোরে গোদাপিয়াশালের চন্দন কাঠ এলাকার জঙ্গলে প্রবেশ করে। রবিবার সন্ধ্যা বেলা লোকালয়ের কৃষি জমিতে নেমে পড়ে।

elephant

স্থানীয় মানুষজন মশাল নিয়ে হাতির দলটিকে সরানোর চেষ্টা করলে পাশাপাশি এলাকার একাংশ মানুষজন নিজেদের জমির ফসল বাঁচাতে হাতির গতিপথে বাধা সৃষ্টি করে। যার ফলে হাতির পালকে সরাতে সক্ষম হয়নি মশাল বাহিনী। 

সোমবার বিকেলেও ওই এলাকায় ফের দেখা গিয়েছে গজরাজদের। বেশ কিছু অতি উৎসাহিত যুবককে ভিড় করতে দেখা গিয়েছে হাতি দেখতে। মাঝেমধ্যে একটি হাতি তাড়া করেও আসছে তাদের দিকে। সন্ধ্যাবেলা মশাল বাহিনী হাতির দলটিকে আড়াবাড়ির জঙ্গলের দিকে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। কিন্তু হাতির দল আড়াবাড়ির জঙ্গলের দিকে না গিয়ে ভাদুতলা শালবনী জাতীয় সড়ক পেরিয়ে আনন্দপুরের জঙ্গলের দিকে এগোতে থাকে। 

elephant attack.jpg

পরিস্থিতি বেগতিক দেখে বনদপ্তর গোদাপিয়াশাল এলাকায় জাতীয় সড়কে মোতায়েন করে মশাল বাহিনী। গত চারদিনে হাতির ওই দলের আনাগোনাতে ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে কৃষি ফসলের। এখনো জমিতে রয়েছে পাকা ধান। আলুও লাগানো হয়েছে। ওই দুই ফসলের ব্যাপক ক্ষতির সম্মুখীন কৃষকরা। বনদপ্তর থেকে জানা গিয়েছে, হাতির দলটিকে বাঁকুড়ার জঙ্গলের দিকে পাঠানোর চেষ্টা করা হচ্ছে। কিন্তু বিভিন্ন এলাকায় ফসল বাঁচাতে গিয়ে কৃষকরা হাতির গতিপথে বাধা সৃষ্টি করছেন।