নিজস্ব সংবাদদাতা: জঙ্গল পথে যাতায়াতের সময় হাতির সামনে পড়ে গিয়ে বাইক রেখে দৌড়ে কোন ভাবে প্রাণে বাঁচেন এক ব্যক্তি। তার বাইক লক্ষ্য করে এগিয়ে যায় দাঁতাল। শুঁড়ে ধরে ফেলে দেয় বাইকটি। ক্ষতি হয় বিভিন্ন অংশের। তারপরেই খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছায় বনকর্মীরা। তবে বনদপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, যানবাহন ক্ষতি হলে সরকারিভাবে ক্ষতিপূরণের ব্যবস্থা নেই। সেই বিষয়টি জানাজানি হতেই ক্ষোভ সৃষ্টি হয় ওই এলাকায়।
শনিবার লালগড় রেঞ্জের ভাউদি বিটের মথুরাপুর কেনেল ব্রিজের সামনে অল্পের জন্য প্রাণে বাঁচেন এক বাইক আরোহী। ওই বাইক আরোহীর নাম চিত্তরঞ্জন মাহাত। বাড়ি শালবনী ব্লকের ভীমপুরের হাতিলোটে। এদিন জঙ্গল পথ দিয়ে তিনি বাড়ি ফিরছিলেন। সেই সময় হঠাৎ একটি দাঁতাল হাতি তার সামনে চলে আসে।
কোনোভাবে মোরাম রাস্তার উপর বাইকটি দাঁড় করিয়ে তিনি জঙ্গলের দিকে দৌড়ে পালিয়ে যান। হাতিটিও বাইকটি লক্ষ্য করে এগিয়ে আসে। শুঁড়ে ধরে ফেলে দেয় বাইকটি। পরে অন্যান্য মানুষজন গিয়ে হাতিটিকে তাড়িয়ে বাইকটি উদ্ধার করেন। জানা গিয়েছে, বাইকের বিভিন্ন অংশের ক্ষতি হয়েছে।
তবে বনদপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, সাইকেল, মোটরসাইকেল সহ যানবাহনের হাতির হানায় ক্ষতি হলে ক্ষতিপূরণের কোনো নির্দেশিকা নেই সরকারিভাবে। ইদানিংকালে জঙ্গলমহলের বিভিন্ন রাস্তায় যানবাহন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে হাতির হানায়। ফলে ক্ষতিপূরণ না পাওয়ার চিন্তায় ক্ষোভ বাড়ছে।
বনদপ্তরের এক আধিকারিক জানিয়েছেন, "গাড়িগুলির ইন্সুরেন্স করা থাকলে, তা যাতে পায় সে ক্ষেত্রে সহায়তা করবেন”। তবে অন্যান্য ক্ষতির ক্ষতিপূরণের মতো যানবাহনের ক্ষতির বিষয়টিও সরকারিভাবে নথিভুক্ত করার দাবি উঠছে।