নিজস্ব সংবাদদাতাঃ এই বছর কলকাতা একটি পরিবেশবান্ধব দীপাবলির জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছে। শহরটি পরিবেশগত প্রভাব কমাতে টেকসই উৎসবের উপর ফোকাস করছে। অনেক বাসিন্দা আলোর উৎসব উদযাপন করার জন্য মাটির প্রদীপ এবং প্রাকৃতিক সজ্জা সহ সবুজ বিকল্পগুলি বেছে নিচ্ছেন।
পরিবেশবান্ধব উদ্যোগঃ কলকাতার স্থানীয় কর্তৃপক্ষ পরিবেশবান্ধব অনুশীলন প্রচার করছে। তারা জৈবনিরাপদ উপকরণ ব্যবহারকে উৎসাহিত করে এবং প্লাস্টিক ব্যবহার নিরুৎসাহিত করে। এই উদ্যোগের লক্ষ্য উৎসব মৌসুমে বর্জ্য এবং দূষণ কমাতে। কলকাতার বাজারে পরিবেশবান্ধব পণ্যের চাহিদা বৃদ্ধি পাচ্ছে। ক্রেতারা প্লাস্টিকের তুলনায় মাটির দীপ পছন্দ করে। প্রাকৃতিক রঙ এবং জৈব রঙোলি পাউডারও বাসিন্দাদের মধ্যে জনপ্রিয়তা অর্জন করছে।
সম্প্রদায়ের প্রচেষ্টাঃ টেকসই অনুশীলনের উপর বেশ কয়েকটি সম্প্রদায় গোষ্ঠী কর্মশালা পরিচালনা করছে। এই সেশনগুলিতে মানুষকে পুনর্ব্যবহৃত উপকরণ ব্যবহার করে সজ্জা কীভাবে তৈরি করতে হয় তা শেখানো হয়। অংশগ্রহণকারীরা পরিবেশের প্রতি সচেতন থাকার সময় সুন্দর জিনিসপত্র তৈরি করতে শেখে। কলকাতার স্কুলগুলিও সচেতনতা ছড়িয়ে দেওয়ার ক্ষেত্রে ভূমিকা পালন করছে। ছাত্ররা টেকসইতার গুরুত্ব তুলে ধরে এমন কার্যকলাপে অংশগ্রহণ করে। এসব প্রচেষ্টার লক্ষ্য ছোট বয়স থেকেই পরিবেশ-সচেতনতা তৈরি করা।
চ্যালেঞ্জ এবং সমাধানঃ এই প্রচেষ্টা সত্ত্বেও, চ্যালেঞ্জ অবশিষ্ট রয়েছে। কিছু লোক এখনও ঐতিহ্যবাহী আতশবাজি পছন্দ করে, যা বায়ু দূষণে অবদান রাখে। এর সমাধানের জন্য কর্তৃপক্ষ কম ধোঁয়া এবং শব্দ সৃষ্টি করে এমন নীরব আতশবাজি প্রচার করে। দীপাবলির সময় বর্জ্য ব্যবস্থাপনা উন্নত করার জন্য শহরটিও কাজ করছে। বর্ধিত বর্জ্য সংগ্রহ এবং পুনর্ব্যবহারের উদ্যোগ উৎসব বর্জ্য কার্যকরভাবে পরিচালনা করতে সাহায্য করে।
একটি বেশি সবুজ ভবিষ্যৎঃ পরিবেশবান্ধব দীপাবলির দিকে কলকাতার পদক্ষেপ ভারত জুড়ে বর্ধিত প্রবণতা প্রতিফলিত করে। সচেতনতা বৃদ্ধির সাথে সাথে ভবিষ্যতের উৎসবে আরও শহর একই রকম অনুশীলন গ্রহণ করতে পারে।
টেকসইতার দিকে এই পরিবর্তন কেবল পরিবেশকেই উপকৃত করে না, বরং সম্প্রদায়ের মঙ্গলও বাড়িয়ে তোলে। পরিবেশবান্ধব অনুশীলন গ্রহণ করে কলকাতা অন্যদের অনুসরণের জন্য একটি উদাহরণ স্থাপন করে।