নিজস্ব সংবাদদাতা, দুর্গাপুরঃ শহরের রাস্তা যেন নদীর রূপ নিয়েছে। ডুবে গিয়েছে বিস্তীর্ণ এলাকা। রাতভর বৃষ্টিতে ভয়ানক পরিস্থিতি দুর্গাপুর শহরের ১৯,২০, ২১ নম্বর ওয়ার্ড। জল জমেছে ১৩-১৪ নম্বর ওয়ার্ডেও। রাতভর বৃষ্টির জেরে সেপকো টাউনশিপের একাংশ, সরকারি মহাবিদ্যালয়ের পাশের বস্তি, এনআইটির সামনের রাস্তা, ৫৪ফুট, সারদাপল্লী, শ্রীনগরপল্লী, আনন্দপুরী, মেন গেটের একাংশসহ বহু জায়গা কার্যত জলের তলায়। এমনকি এনআইটির সামনের রাস্তায় বাইক ভেসে যেতে দেখা যায়।
৫৪ ফুট থেকে চারচাকা গাড়ি ভাসতে ভাসতে চলে আসে তপোবন এলাকায়। এই গাড়ি জলের মধ্যে দাঁড়িয়ে ধরে রাখতে দেখা যায় এক ব্যক্তিকেও। জানা গিয়েছে সরকারি মহাবিদ্যালয়ের, শ্রেণীকক্ষ ও শৌচাগার খুলে দিয়েছেন কলেজ কর্তৃপক্ষ। পাশের দুটি বস্তি থেকে জলমগ্ন মানুষজনকে কলেজে আশ্রয় দেওয়ার ব্যবস্থা করা হচ্ছে। সেপকো টাউনশিপের জলমগ্ন বাসিন্দারা জানিয়েছেন, জল জমেছে তবে এই রকম জল আগে কোনদিন দেখেননি।
অর্পিতা অধিকারী নামের পথ চলতি এক মহিলা বলেন," গোটা এলাকা জলের তলায়। বাইক নিয়ে কি করে যাব সেটাই বুঝে উঠতে পারছি না। কেউ দেখেও দেখে না। নিকাশী নালা একেবারেই বেহাল। অল্পবৃষ্টিতে জল জমে যায় বেশি বৃষ্টি হলে তো নদীর রুপ নিয়ে নেয়। সেই জন্যই এই অবস্থা। "
তীব্র কটাক্ষ করে দুর্গাপুর পশ্চিমের বিজেপির বিধায়ক লক্ষণ ঘড়ুই বলেন," নিকাশী নালা দখল এরপর এক সরকারি জায়গা দখল। প্রোমোটারদের দাদাগিরি সর্বত্র। প্রশ্রয় দিচ্ছে তৃণমূল নেতারা। আর দুর্গাপুর নগর নিগম চুপ করে বসে আছে। আর বড় বড় কথা বলে দুর্গাপুর নাকি স্মার্ট সিটি করবে। "
নগর নিগমের প্রশাসক মন্ডলীর চেয়ারপার্সন অনিন্দিতা মুখোপাধ্যায় বলেন," জল নামলেই আমাদের প্রতিনিধিরা এলাকায় পৌঁছে যাবে। সাধারণ মানুষের পাশে দাঁড়াবে। নিকাশী নালার সমস্যার যাতে সম্বোধন করা যায়, সেই ব্যবস্থাও করা হবে। "