নিজস্ব সংবাদদাতা: পদ্মার ভাঙন দেখতে এসে জলে তলিয়ে যাচ্ছিল দুই শিশু। নিজের প্রাণের পরোয়া না করে ঝাঁপ দিলেন এক সিভিক ভলেন্টিয়ার কিন্তু তিনি আর উঠলেন না!
মুর্শিদাবাদ জেলা লালগোলার তারানগরে রাক্ষসী পদ্মা এগিয়ে আসছিল। সেই পদ্মার ভাঙ্গন দেখতে গিয়েছিল দুই শিশু। বারবার নদী গ্রাস করছে ঘরবাড়ি থেকে সহায় সম্পত্তি। প্রশাসনের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিচ্ছেন সাধারণ মানুষ। আর এই নদী ভাঙ্গন দেখতে এসে পদ্মায় তলিয়ে যাচ্ছিল দুই শিশু। সেই মুহূর্তে তাদের বাঁচাতে নদীর জলে ঝাঁপ দেন সিভিক ভলেন্টিয়ার অশিকুল ইসলাম তার বাড়ি লালগোলার রাধাকৃষ্ণপুর এলাকায়। সে ডিআইবিতে সিভিক ভলেন্টিয়ার হিসেবে কর্মরত। ডিউটি রত অবস্থায় ছিলেন অশিকুল।
সেই সময় কোন কিছু না ভেবেই পদ্মায় ঝাঁপ দেন তিনি। এদিকে তাকে দেখে ঝাঁপ দেন আরো এক সিভিক ভলেন্টিয়ার মুখলেসুর রহমান। এদিকে শিশুদ্বয়কে অক্ষত অবস্থায় উদ্ধার করে পারে তুলে দেন অশিকুল ইসলাম। সাঁতরে নদী পার হয়ে উপরে ওঠেন মোখলেসুর। কিন্তু ধসের কারণে আবার জলে পড়ে যান অশিকুল। সোমবার রাত পর্যন্ত নিখোঁজ থাকেন তিনি। মঙ্গলবার সকালেও তন্ন তন্ন করে খোঁজা হয় তাকে কিন্তু কোথাও তার খোঁজ পাওয়া যায়নি।
খবর পেয়ে রাতে এই ঘটনাস্থলে উপস্থিত হন লালগোলার বিডিও দেবাশীষ মন্ডল, সহ পুলিশের অন্যান্য কর্তা ব্যক্তিরা। কোলের শিশুদের ফিরে পেয়েছেন বাবা-মা, কিন্তু খালি হয়ে গিয়েছে আরেক মায়ের কোল। শোকের ছায়া গোটা এলাকা জুড়ে।