এবার চার লক্ষ মেট্রিক টন ধান কিনবে জেলা খাদ্য দফতর!

চার লক্ষ মেট্রিক টন ধান কিনবে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা খাদ্য দফতর।

author-image
Aniruddha Chakraborty
New Update
ল্কম

ফাইল চিত্র

নিজস্ব সংবাদদাতা, পশ্চিম মেদিনীপুরঃ শুরু হয়েছে কৃষকদের কাছ থেকে সরকার নির্ধারিত মূল্যে ধান কেনা। পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা খাদ্য দফতর চলতি মরসুমে সরকার নির্ধারিত সহায়ক মূল্যে ধান কেনার লক্ষ্যমাত্রা গতবারের থেকে বৃদ্ধি করল। এবছর কৃষকদের কাছ থেকে সহায়ক মূল্যে ৪ লক্ষ মেট্রিক টন ধান কেনার লক্ষ্যমাত্রা রেখেছে জেলা খাদ্য দফতর। জেলাজুড়ে বিভিন্ন কিষাণ মান্ডি বা সরকারি কেন্দ্রগুলো থেকে ধান ক্রয় শুরু হয়েছে। পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা শাসক খুরশিদ আলী কাদরী জানিয়েছেন, "এই বছর ৪ লক্ষ মেট্রিক টন ধান ক্রয় করা হবে। বিভিন্ন ধান ক্রয় কেন্দ্রগুলো আধিকারিকরা পরিদর্শনও করছেন। যাতে কোন সমস্যা না হয়। কৃষকদেরও উৎসাহ দেওয়া হচ্ছে সরকারি কেন্দ্রগুলোতে ধান বিক্রয়ের জন্য।" তবে কৃষক সংগঠনের দাবি প্রতিটি অঞ্চলে ক্যাম্প করে ধান কেনা হোক সরকারিভাবে। না হলে ফড়েদের বিক্রি করতে বাধ্য হচ্ছেন কৃষকরা। অনেক কৃষক ঋণ নিয়ে ধান চাষ করেছিলেন। ওই ধান বিক্রি করে আলু চাষে নামবেন। সরকারি কিষাণ মান্ডিতে ধান বিক্রি করতে অনেকটা সময় লেগে যায়। ফলে ধান বিক্রি না করলে  আলু চাষে নামতেও পারছেন না। অনেকে আবার অভাবী ধান বিক্রি করে আলু চাষে নেমে পড়েছেন। চাষ তো করতে হবে, তাই দেরি করলে আলুর ফলন ও দাম কোনোটাই  ঠিকমতো পাওয়া যাবে না বলে জানান কৃষকরা। অন্যদিকে ধান না বিক্রি করলে আলু চাষের এত খরচের টাকা কোথা থেকে পাবেন কৃষকরা? এই সুযোগ কাজে লাগিয়ে নিয়েছে ফড়েরা। তারাও ধানের দাম সরকারি সহায়ক মূল্যর থেকে কম দামে ক্রয় করছেন। সরকারি সহায়ক মূল্য ২১৮৩ টাকা, আর ফোড়েরা নিচ্ছে ১৬০০ থেকে ১৮০০ টাকা প্রতি কুইন্টাল। সারা ভারত কৃষক ও ক্ষেতমজুর সংগঠনের জেলা সম্পাদক প্রভঞ্জন জানা বলেন, "প্রতিটি ব্লকে ধান ক্রয় কেন্দ্রের দূরত্ব অনেকটাই হয়ে পড়ে কৃষকদের। আবার অভাবী কৃষকরা বাধ্য হচ্ছে ফড়েদের ধান বিক্রি করতে। আমরা দাবি করেছি প্রতিটি অঞ্চলে ক্যাম্প করে ধান ক্রয় করার। এতে কৃষকরা অনেকটাই সুবিধা পাবেন।"

hire