ডুবলো সেতু! বিচ্ছিন্ন যোগাযোগ! চরম ভোগান্তিতে বাড়ছে ক্ষোভ

অবিরাম বৃষ্টিতে বিচ্ছিন্ন যোগাোগ ব্যবস্থা। জলের তলায় সেতু। নদী পারাপারে সমস্যা। সরকারের মুখের দিকে তাকিয়ে পশ্চিম মেদিনীপুরবাসী।

author-image
Pallabi Sanyal
New Update
dsxd

দিগ্বিজয় মাহালী, পশ্চিম মেদিনীপুর : নিম্নচাপের জেরে কয়েকদিনের টানা বৃষ্টিতে শিলাবতী নদীর জল বেড়ে গিয়ে জলের তলায় গ্রাম পঞ্চায়েতের তৈরি কাঠের সেতু। নদী পারাপারের একমাত্র কাঠের সেতু জলে ডুবে যাওয়ায় যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন একাধিক গ্রামের সাথে। কাঠের সেতুর উপর দিয়ে বয়ে চলা জলের উপর দিয়ে বিপদজনক ভাবে বাইক নিয়ে কয়েকজনকে যাতায়াত করতে দেখা গেল, রীতিমতো প্রাণ হাতে করে।নদীর জল বাড়লেই এহেন ভোগান্তিতে ক্ষুব্ধ এলাকাবাসী। ঘটনাটি পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার চন্দ্রকোনা-২ ব্লকের ভগবন্তপুর-১ গ্রাম পঞ্চায়েতের ঘোষকিরা এলাকার। বছরখানেক আগে ভগবন্তপুর-১ গ্রাম পঞ্চায়েতের উদ্যোগে ঘোষকিরা এলাকায় শিলাবতী নদীর উপর কয়েক লক্ষ টাকা ব্যায় করে একটি কাঠের সেতু তৈরি করে।বিগত কয়েকটি বন্যায় সেই সেতুর হাল নড়বড়ে হয়ে গিয়েছে বলে দাবি এলাকাবাসীর।এই সেতুর একপ্রান্তে বসবাস ঘোষকিরা,কোল্লা,খুড়শি সহ বেশকিছু গ্রামের,অপরদিকে রয়েছে কেশেডাল, ভগবন্তপুর,খিরেটি সহ চন্দ্রকোনা শহর যাওয়ারও পথ।প্রায় ১৫-১৬ টি গ্রামের মানুষের সহজ পথ হিসাবে যাতায়াতের একমাত্র মাধ্যম এই ঘোষকিরা কাঠের সেতু।এই সেতু বর্তমানে শিলাবতী নদীর জলের তলায়।কয়েকদিন টানা বৃষ্টির জেরে নদীর জল এতোটাই বেড়ে গিয়েছে যে চন্দ্রকোনার ঘোষকিরা এলাকায় থাকা কাঠের সেতুর উপর দিয়ে জল বয়তে থাকে,রবিবার বিকেল থেকে সেতুর উপর দিয়ে জল বয়তে শুরু করে এবং পরবর্তী সময়ে জলের তলায় চলে যায় কাঠের সেতুটি।সেতুর উপর দিয়ে জল বইতে থাকাকালিন তা রউপর দিয়ে প্রাণের ঝুঁকি নিয়ে যাতায়াত করতে দেখা যায় কয়েকজন মানুষকে।কিন্তু সেতুটি সম্পুর্ন জলে ডুবে যাওয়ার ফলে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন একাধিক গ্রামের সাথে।গ্রামবাসীদের কথায়,দুটি নদীর মাঝে বসবাস ঘোষকিরা সহ একাধিক গ্রামের,এই কাঠের সেতুই আমাদের নির্ভর। নদীর এপাড় থেকে ওপাড়ে যাওয়ার জন্য অন্য কিছু ব্যবস্থা নেই।রাতের দিকে কারও বাড়িতে কোনো বিপদ ঘটলে নদী পারাপারে সমস্যায় পড়তে হবে। নদীর জল বাড়লেই প্রতিবারই এই একই সমস্যার সম্মুখীন হতে হয় ১৫-১৬ টি গ্রামের মানুষদের। নদী পারাপারে সরকার স্থায়ী কোনো ব্যবস্থা করুক, দাবি এলাকাবাসীর।

hiring 2.jpeg