মিড-ডে মিল দুর্নীতি : রিপোর্ট পাঠানোর পরামর্শ দিলীপের!

''ওনারা একটা ডাটা দিক না, তাহলেই তো সব ঠিক হয়ে যায়, কত স্টুডেন্ট আছে, মিড ডে মিলে কত খরচ হয়, কত টাকা যায়, কোথায়? মিড ডে মিল টা একটা লুটের জায়গা হয়ে গিয়েছে।''

author-image
Pallabi Sanyal
New Update
DILIP GHOSH CHA CHAKRA THURSDAY

খড়গপুরে চা চক্রে সাংসদ দিলীপ ঘোষ

দিগ্বিজয় মাহালী, খড়গপুর : বৃহস্পতিবার সকালে খড়গপুরের (Kharagpur) সাউথ ইনস্টিটিউটে (South Institute) চা-চক্রে (cha-chakra) যোগ দিতে গিয়ে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে সাংসদ দিলীপ ঘোষ (Dilip Ghosh)বলেন, ''দেখুন পশ্চিমবঙ্গ সরকার মিড ডে মিলের কোন ডাটা মেনটেন করে না। আপনি পাশের রাজ্য আসাম কে দেখুন তাদের প্রতিটি ছাত্র-ছাত্রীর লিস্ট আছে কত টাকা আসছে কত খরচ হচ্ছে সমস্ত কিছুর হিসাব আছে। কিন্তু পশ্চিমবঙ্গে কোন হিসাব নেই, কোন ডাটা নেই। ১০০ কোটি তো সবে পাওয়া গেছে, পরে আরো অনেক হিসেব হবে। এনকোয়ারি চলছিল, কমপ্লেন পেয়ে স্কুল নাই, ছাত্র নাই, সেখানে মিড ডে মিলের খরচা যাচ্ছে। কতজন স্টুডেন্ট আছে তার কোন হিসাব নেই। ৫০ জন এর জায়গায় ২০ জন স্টুডেন্ট আছে।  সব জায়গায় দুর্নীতি। এটা তদন্ত করে পাঠিয়েছে জানা গেছে। শিক্ষামন্ত্রী বলছেন আমাদের জিজ্ঞাসা করেনি কেন? আরে যে চোর তাকে কি জিজ্ঞাসা করবে? যে চুরি করছে জেনে বুঝে তাকে কি জিজ্ঞাসা করবে নাকি? তাহলে রিপোর্টটা কি হবে! যেটা ওনারা বাস্তব দেখেছেন সেই রিপোর্টটি দিয়েছেন। ওনারা একটা ডাটা দিক না, তাহলেই তো সব ঠিক হয়ে যায়, কত স্টুডেন্ট আছে, মিড ডে মিলে কত খরচ হয়, কত টাকা যায়, কোথায়? মিড ডে মিল টা একটা লুটের জায়গা হয়ে গিয়েছে। সেই জন্য সব দিক দিয়ে বদনাম হচ্ছে পশ্চিমবঙ্গের। গরিব বাচ্চাদের খালার লুট হয়ে যাচ্ছে বহু জায়গায়। এখানে কেন্দ্রীয় সরকার যা দিচ্ছে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বলছেন যথেষ্ট নয়। আমরা মাছ মাংস খাওয়াবো আরে সেই চাল ডালটাই খাওয়াতে পারছেন না,  ডিম দিতে পারছেন না। আর সেখানে বিছে পাওয়া যাচ্ছে, সাপ পাওয়া যাচ্ছে, খাবারের মধ্যে। এ নিয়ে কতটা সিরিয়াস সরকার, কাজ দেখে বোঝা যায়।উনি সমস্ত ডাটা কেন্দ্রীয় সরকারকে পাঠিয়ে দিন তাহলে সমস্ত কিছু ঠিক হয়ে যাবে।''