পদ হারালেন অনুপম হাজরা, বিস্ফোরক বার্তা দিলেন দিলীপ ঘোষ

দলের সিদ্ধান্তে অনুপম হাজরা পদ হারিয়েছেন। এই প্রসঙ্গে দিলীপ ঘোষ বলেন, 'দলের সিদ্ধান্তে আমাকেও পদ হারাতে হয়েছে। পার্টিতে পরিবর্তন হতেই পারে। কেন্দ্রীয় দল যেটা মনে করেছে, সেটাই করেছে।'

author-image
Tamalika Chakraborty
New Update
dilip ghosh edit 2.jpg

নিজস্ব সাংবাদদাতা: অনুপম হাজরাকে তাঁর পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়। এরপরেই বিস্ফোরক মন্তব্য করেন দিলীপ ঘোষ। সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে তিনি বলেন, 'পার্টি আমাকেও সরিয়ে দিয়েছে এক সময়। পার্টিতে পরিবর্তন হতেই থাকে । যেটা ঠিক মনে করেছেন কেন্দ্রীয় নেতৃত্বরা সেটাই করেছেন।' 

সোশ্যাল মিডিয়া সম্পর্কে বিজেপি সাংসদ দিলীপ ঘোষ বলেন, 'বিজেপি সোশ্যাল মিডিয়াতে চিরদিন এগিয়ে রয়েছে। এটা ঠিকই যে, সোশ্যাল মিডিয়া আজকের দিনে একটা ভালো অস্ত্র। রাজনৈতিক ক্ষেত্রে এই সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহার করা হচ্ছে । সমস্ত পার্টির সমস্ত সংগঠন তার মাধ্যমে নিজেদের বক্তব্যকে সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে প্রচার করে। বিজেপির আগে থেকেই অর্থাৎ ২০১৪ সাল থেকে সোশ্যাল মিডিয়ায় শক্তিশালী দল রয়েছে। সেখানে সভাপতি ও প্রাক্তন সভাপতি দুজনেই এসেছেন। ফলে বিজেপির কর্মীরা আরও উৎসাহ পাবেন, সিস্টেমেটিক কাজ করবেন । বাকিরা সব সময় আমাদের অনুকরণ করে এতেও করবে।' 

অনুপম হাজরার সোশ্যাল মিডিয়ার বক্তব্য নিয়ে দিলীপ ঘোষ বলেন, 'কিছু বলার নেই। পার্টি যা ঠিক মনে করেছেন করেছে সেটা করেছে। এটা দলের সর্বভারতীয় সিদ্ধান্ত। সোশ্যাল মিডিয়ায় উনি ওনার বক্তব্য বলেছেন। উনি আগেও বলেছেন। এখনও বলেছেন। কিন্তু পার্টি যেটা সিদ্ধান্ত নিয়েছেন সেটা দলের সিদ্ধান্ত।

লোকসভা নির্বাচনের আগে লক্ষ্যমাত্রা বেঁধে দিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। এই প্রসঙ্গে বিজেপির প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি বলেন, 'বাংলার জন্য একটা টার্গেট দিয়েছেন উনি, গত নির্বাচনেও দিয়েছিলেন। আমরা কাছাকাছি পৌঁছেছিলাম। এবারও তাই হবে।'

যাদবপুর সমাবর্তনের দেওয়া সার্টিফিকেট নিয়ে বিতর্ক সম্পর্কে বলেন,  'পশ্চিমবাংলার শিক্ষা ব্যবস্থা এই সরকারের আমলে চিন্তা ভাবনা না করে যে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। রাজ্যে শিক্ষাব্যস্থায় রাজনীতি করা হচ্ছে। তার ফলে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে রাজ্যের শিক্ষা ব্যবস্থা । অলরেডি স্কুল-কলেজের অবস্থা খারাপ। এবার ইউনিভার্সিটিতে এনারা হাত দিয়েছেন। সেখানে জোর করার জন্য অব্যবস্থা শুরু হয়েছে। যেখানে সমস্ত কিছু ঠিকঠাক চলে, সেখানে অব্যবস্থার চেষ্টা করেন এনারা। বিনা কারণে গভর্নরের সঙ্গে ঝামেলা করতে গিয়ে নিজেদের সর্বনাশ করছেন, বাংলার সর্বনাশ করছেন।' 

চৈতন্যদেবের সাথে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের তুলনা করেছেন শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু। এই প্রসঙ্গে তিনি বলেন,  'কে বিবেকানন্দের সঙ্গে তুলনা করছেন, কে সারদা দেবীর সাথে তুলনা করছেন, কে বিবেক চৈতন্যদেবের সাথে তুলনা করছে। তুলনা করলে যদি কোন কাজ হয় তাহলে ভালই হয়। তোমরা কোথায় আছো আর ওই মহাপুরুষরা কোথায় আছেন। কেন ওনাদেরকে ছোট করার চেষ্টা করেন।'