দিগ্বিজয় মাহালী, পশ্চিম মেদিনীপুর : পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার খড়গপুর শহরে প্রাতঃ ভ্রমণে বেরিয়ে খড়গপুরের বগদা এলাকায় বিজেপি কর্মী সমর্থকদের সঙ্গে চা চক্র করলেন বিজেপি সাংসদ দিলীপ ঘোষ।
দিল্লিতে আজ থেকেই ধর্না শুরু তৃণমূলের। তৃণমূল সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্য়ায় বলেন, ''কেন্দ্রীয় মন্ত্রী গিরিরাজ সিং এর আগে তাদের সঙ্গে দেখা করেননি। এবার ডু অর ডাই মানসিকতা নিয়ে আন্দোলন করতে গিয়েছেন দিল্লিতে।'' আর তৃণমূলের কর্মসূচির পাল্টা আরেকবার শাসকদলকে তুলোধনা করলেন দিলীপ ঘোষ। তিনি বলেন, ''দিল্লি পৌঁছালে ডু অর ডাই। তার আগেই তো অ্যাক্সিডেন্টে মারা যাচ্ছে মানুষরা। যাদেরকে লোভ দেখিয়ে এসি বাসে নিয়ে গেছেন, তারা নিশ্চিন্তে আগে দিল্লি পৌঁছন। তার আগে তো ধর্নাকারি টিচাররা পৌঁছে যাচ্ছেন। আসলে দিদি প্রধানমন্ত্রী হবে এটা কেউ খাচ্ছে না। তাই দিল্লিতে হাল্লাগোল্লা করে হাওয়া তোলার চেষ্টা করছে। যাতে বোঝাবে টিএমসি লড়াইতে আছে।''
অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছেন, ''উত্তরপ্রদেশে বা এখানে যদি কারো গায়ে যদি আঁচড় পড়ে ছেড়ে কথা বলব না।'' এবার পাল্টা দিলীপ ঘোষ বলেন, ''এসব ফাঁকা আওয়াজ দিয়ে কি লাভ। এটা করতে পারেন, পুলিশ দিয়ে কাউকে গ্রেফতার করাবেন। সাংবাদিকদের ছাড়ছেন না, বিরোধীদের ছাড়ছেন না। এর বেশি কিছু করতে পারবেন না। কারণ আপনাদের পেছনে কোন লোক নেই। যাদেরকে টিকিট দিয়েছেন, যারা লুটপাট করে খাচ্ছে, তারাই দিল্লি যাচ্ছে। কয়েকটা গুন্ডা, বদমাশ, সমাজ বিরোধী। আর দু একটা দুর্নীতিগ্রস্ত নেতা। কে আছে ওনাদের সঙ্গে? পুরো পশ্চিমবাংলার মানুষ দেখতে চাইছে অভিষেক কবে অ্যারেস্ট হবে। সে আবার অন্যকে অ্যারেস্ট করার কথা বলছে।''
গিরিরাজ সিং কে গ্রেফতার করার দাবী জানিয়েছেন অভিষেক ব্যানার্জি। পাল্টা দিলীপ ঘোষ বলেন, ''ডোমের অভিশাপে গরু মরে নাকি। বারবার বলে কি লাভ আছে। গ্রেফতার কে হবে সে তো দেখা যাবে। যে গ্রেফতার হবে কিছুদিন পরে, সে আবার অন্যের গ্রেফতারের দাবি করছে।''