নিজস্ব সংবাদদাতা: খড়্গপুরে একটি অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছিলেন বিজেপি নেতা দিলীপ ঘোষ। সেখানে তিনি একাধিক বিষয়ে নিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তর দেন। তিনি বলেন, 'আন্দোলন করার অধিকার সকলের রয়েছে কিন্তু চাকরি প্রার্থীরা যেভাবে আন্দোলন করছেন, প্রাণকে বাজি রেখে, হয় আন্দোলন করে মারা যাবো আর নয় তো না খেয়ে মারা যাব। এত কিন্তু এতদিন হয়ে গেল সরকারের তরফ থেকে কোনও অফিসিয়াল বা কোন গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি বা মুখ্যমন্ত্রী দেখা করতে যাননি, ওদের কথা কেউ শোনেননি । কিন্তু আজকে আন্দোলন এমন জায়গায় পৌঁছেছে মহিলারা তাদের নিজেদের চুল ন্যাড়া করে দিচ্ছেন, ছেলেরা খালি গায়ে রাস্তায় শুয়ে রয়েছেন, যতরকম কৃচ্ছসাধন হতে পারে। বিবেক জাগ্রত করার জন্য তারা চেষ্টা করেছে কিন্তু সরকারের বিবেক জাগ্রত হয়নি । নিজেদের আন্দোলন,কাটমানির পয়সা নিয়েই ব্যস্ত আছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এখন তাঁদের এমপি এমএলএদের বাঁচাতে ব্যস্ত, বাংলার সাধারণ মানুষের কথা তাঁরা কোনওদিন চিন্তা করেননি, এখানকার শিক্ষা, স্বাস্থ্য , এখানকার ভবিষ্যৎ নিয়ে কখনও চিন্তা করেননি ।
বঙ্গ বিজেপি নেতাদের লাঠি পেটার নিদান দিয়েছেন তৃণমূলের এক নেতা। এই প্রসঙ্গে দিলীপ ঘোষ বলেন, 'এখন তৃণমূল ডুবে যাচ্ছে। পার্টি কোথায়, সরকার কোথায়, নেতা-মন্ত্রী জেলে। তারা ভাবছে পরেরবার আর জিতে আসতে পারবে না। এই ধরনের গরমাগরম কথা বলে উপস্থিতি দেখাচ্ছেন। সাধারণ মানুষ বা তাদের কর্মীদের মনে ছুঁবে না। বোঝা যাচ্ছে ওরা দেউলিয়া হয়ে গেছে। এইসব অনেক হুমকি আমরা দেখেছি। কোথায় পামু আর কোথায় চাঁদ। নিজের পাড়ার নেতা ওরা। কালকে রাস্তায় লোকে ওদের জামাকাপড় খুলে নেবে।'
শুভেন্দুর মিছিলের আগেই বিজেপির কর্মী সমর্থকদের বাড়ি জ্বালিয়ে দেওয়া হয়। ঘাটালের দাসপুরে এই ঘটনা ঘটেছে। এই প্রসঙ্গে দিলীপ ঘোষ বলেন, 'এটা নতুন কিছু নয় আমাদের ওপর শালবনি, গড়বেতা, চন্দ্রকোনা, এ সমস্ত এলাকায় অত্যাচার আগে থেকেই হয়ে আসছে, আমাদের কর্মীদের মারপিট। বিজেপির সভায় যাওয়ার জন্য আগেও হাত পা ভেঙে দিয়েছিল, সেটাই চলছে। আমার মনে হয় এটা আর বেশি দিন চলবে না কিছু গুন্ডা, বদমাইশ ওখানে চিরদিনই আছে। সমাজবিরোধীরাই তৃণমূল করে । সময় আসছে আমরাও তার হিসাব বুঝিয়ে দেব। '