নিজস্ব প্রতিনিধি, ঘাটাল: ২০২৮ সালের মার্চের মধ্যে শেষ হবে ঘাটাল মাস্টার প্ল্যান রূপায়ণের কাজ, এমনটাই জানালেন ঘাটালের দীপক অধিকারী ওরফে দেব। ঘাটাল মাস্টার প্ল্যান রূপায়ণের জন্য বিরোধী রাজনৈতিক দল ও সাধারণ মানুষের সহযোগিতা চাইলেন দেব। ঘাটাল মাস্টার প্ল্যান নিয়ে মনিটরিং কমিটির প্রথম বৈঠক হল ঘাটালে। উপস্থিত ছিলেন সেচ দপ্তরের মন্ত্রী মানস রঞ্জন ভূঁইয়া, দপ্তরের মুখ্য সচিব মনিশ জৈন, পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা শাসক, পুলিশ সুপার সহ প্রশাসনিক আধিকারিকরা। ঘাটাল মহকুমাশাসকের দপ্তরে একটি প্রশাসনিক বৈঠক শেষে প্রেস কনফারেন্স করেন সাংসদ দেব ও সেচ মন্ত্রী ডঃ মানস ভূঁইয়া।
/anm-bengali/media/media_files/2025/01/21/KhAlGlgLig6D1Sn9ydqc.jpeg)
সেচ মন্ত্রী ডঃ মানস রঞ্জন ভূঁইয়া জানিয়ে দেন মুখ্যমন্ত্রীর নজরদারিতে চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি মাস থেকেই শুরু হতে চলেছে ঘাটাল মাস্টার প্ল্যানের কাজ। খুব শীঘ্রই মুখ্যমন্ত্রীকে আবেদন জানানো হবে ঘাটাল মাস্টার প্ল্যানের কাজ শুরুর শুভ সূচনা করার জন্য। শুধু পশ্চিম মেদিনীপুরের ঘাটাল নয়, পূর্ব মেদিনীপুরের দুটি ব্লক সহ মোট সাতটি ব্লক ও দুটি পৌর এলাকা নিয়ে শুরু হতে চলেছে কাজ। মাস্টার প্ল্যানের জন্য জমিদাতাদের উপযুক্ত ক্ষতিপূরণ দিয়ে তবেই কাজ শুরু করা হবে এমনই জানান ঘাটালের সাংসদ অভিনেতা দেব।
তবে সাংবাদিক সম্মেলনে দেবকে ঘাটাল মাস্টার প্লান রূপায়ন নিয়ে একাধিক বার বলতে শোনা গেল জমি অধিগ্রহণের বিষয়ে। ঘাটাল মাস্টার প্লানের কাজ শুরু ও বাস্তবে রূপ দিতে হলে বহু মানুষের জমি জায়গা ও দোকান উচ্ছেদ বা অধিগ্রহণের আওতায় পড়বে। সরকার কারও জমি জায়গা জোর করে নেওয়ার পক্ষে নয়। তবে ঘাটাল মাস্টার প্লানের জন্য টাকা রেডি। যেটা নিয়ে কেন্দ্র রাজ্য টানাপোড়েন চলছিল তার সমস্যা নেই,ইঞ্জিনিয়াররাও সার্ভে করে সবকিছু প্লান করে তৈরি। এবার শুধু প্রায় ১০ হাজার মানুষকে বোঝাতে তাদের বাড়ি বাড়ি যাওয়ার আবেদন সাংসদ দেবের। তার কথায়, ঘাটাল মাস্টার প্লান রূপায়ন করতে হলে এই দশ হাজার মানুষের জায়গা বা কারও জমি দোকানঘর পড়বে তাদের যাতে কেউ না ভুল বোঝায়। ঘাটালের মানুষের জলযন্ত্রনা থেকে মুক্তি পেতে এবং ঘাটাল মাস্টার প্লান রূপায়নে সবস্তরের মানুষের সাহায্য সহযোগিতার আবেদন সাংসদ দেবের। মন্ত্রী ডঃ মানস ভূঁইয়াও জানান, "মাথার উপর রয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আর জনতা জনার্দনকে সাথে নিয়েই আমরা একাজ শুরু করব"। কারও কোনো সমস্যা থাকবে না বলে আশ্বস্ত করেন সেচ মন্ত্রী।