নিজস্ব সংবাদদাতা, দুর্গাপুরঃ মুখ্যমন্ত্রীর নিষেধ সত্ত্বেও এবার কারখানার মূল গেট আটকে দিয়ে জঙ্গি আন্দোলনে সামিল তৃণমূল কর্মী সর্মথকরা। এই আন্দোলনকে সর্মথন করে দলের ঝান্ডা হাতে নিয়ে কারখানার মূল গেট আটকে দিয়ে জঙ্গি শ্রমিক আন্দোলনেই ভরসা রাখলো দুর্গাপুরের ২৮ ও ২৯ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল নেতৃত্বের একাংশ।
স্থানীয়দের উপেক্ষা করে বহিরাগতদের চাকরি দেওয়ার অভিযোগ সামনে রেখে দুর্গাপুরের ২৯ নম্বর ওয়ার্ডের সগরভাঙা কলোনির একটি বেসরকারি কারখানার মূল গেট আটকে দিয়ে বিক্ষোভে সামিল হলেন তৃণমূলের স্থানীয় নেতৃত্ব ও কর্মী সমর্থকরা। রীতিমতো তারা কারখানার মূল গেটের দেওয়ালে কর্তৃপক্ষকে চরম হুশিয়ারী দিয়ে লিফলেট সাটিয়ে স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্বের হুশিয়ারী যে, দশ দিনের মধ্যে বহিরাগতদের বের করে না দিলে দুটি ওয়ার্ডের স্থানীয় লোকজন ও পার্টি কর্মীরা পরিবার পরিজন নিয়ে কারখানার গেটের সামনে বসে পড়বেন।
পার্টি নেতৃত্বের প্রতি ক্ষোভ উগরে দিয়ে স্থানীয় বেকারদের অভিযোগ, ' ভোটের সময় কাজ করিয়ে নিচ্ছে পার্টি আর কাজের বেলায় বহিরাগতরা ঢুকে পড়ছে কারখানায়। এতে হুশ নেই কারোর। এই নিয়ে আজ বৃহস্পতিবার সকাল থেকে সগরভাঙা শিল্পতালুকের একটি বেসরকারি কারখানার মূল গেট আটকে দিয়ে তৃণমূল কর্মীদের এই বিক্ষোভের জেরে কারখানার ভেতরের কর্মীরা আটকে পড়েন দীর্ঘক্ষন ধরে। এই ঘটনার খবর পেয়ে কোকওভেন থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে আসে। কিন্তু আন্দোলনে অনড় থাকে তৃণমূল কর্মী সমর্থকরা।
এই ঘটনায় স্থানীয় প্রাক্তন তৃণমূল কাউন্সিলার তথা তৃণমূল নেতা সুনীল চ্যাটার্জী বলেন, ' আন্দোলনকে নৈতিক সমর্থন দিয়েও খুব তাড়াতাড়ি কর্মী নিয়োগ হবে। ' অন্যদিকে, দুর্গাপুর পশ্চিমের বিজেপি বিধায়ক লক্ষণ চন্দ্র ঘোড়ুই বলেন, ' শাসক দলের গেট আটকে দিয়ে এই আন্দোলন কার্যত শাসক দলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব। '