নিজস্ব প্রতিনিধি, পশ্চিম মেদিনীপুর : হাতির হানা রুখতে ও ক্ষতিপূরণের দাবিতে ডেপুটেশন। কষ্ট করে ফলানো ফসল চাষিরা যে সময় বাড়ি তোলার চেষ্টা করছেন সেই সময় প্রায় শতাধিক হাতির তাণ্ডবে তছনছ জমির পাকা ধান। যার ফলে দিশেহারা হয়ে পড়ছেন চাষিরা। এমনিতে ধার করে, লোন নিয়ে চাষিরা চাষ করেছেন। কালবৈশাখী ঝড়ের আগে ধান বাড়িতে তোলার তোড়জোড় থাকলেও হাতির হানায় নষ্ট হয়ে যাচ্ছে ফসল। হাতির হানা রুখতে মেদিনীপুর সদরের চাঁদড়া রেঞ্জ অফিসে ডেপুটেশন দিল এসইউসিআই। সংগঠনের অভিযোগ, হাতির হানায় ফসলের ক্ষতির পাশাপাশি মানুষের মৃত্যু ঘটলেও বনদপ্তরের পক্ষ থেকে সেভাবে কোনও তৎপরতা লক্ষ্য করা যায়নি। দাবি করেছে, মাধ্যমিক পরীক্ষা চলাকালীন হাতির পাল যাতে জঙ্গল থেকে বাইরে না আসে তার জন্য বাঁকুড়ায় জঙ্গলে খাবারের ব্যবস্থা করেছিল হাতির জন্য। চাঁদড়া এলাকার জঙ্গলে এই মুহূর্তে প্রায় ৭০ টি হাতি রয়েছে। চাষিরা যাতে তাদের ফসল বাড়িতে তুলতে পারেন, তার জন্য জঙ্গলে হাতিকে আটকে রাখতে খাবার ও জলাশয়ের ব্যবস্থা করুক বনদপ্তর। অভিযোগ, ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকরা অনেকেই ক্ষতিপূরণ পাননি গত এক বছরের বেশি সময় ধরে। ক্ষতির পরিমাণও এত কম যে বীজের খরচও উঠবে না। এদিন উপস্থিত ছিলেন, স্বপন পাত্র, অনিল কিস্কু, সৌমেন মাহাত সহ অন্যান্যরা। স্বপন বাবু বলেন, "একাধিক দাবিতে ডেপুটেশন দেওয়া হয়েছে। আমরা দাবি করেছি, হাতিকে জঙ্গলে আটকে রেখে তার খাবারের ব্যবস্থা করা। ক্ষতিপূরণের মূল্য বৃদ্ধি ও দ্রুত ক্ষতিপূরণ দেওয়ার ব্যবস্থা। হুলা টিম ও গ্রামবাসীদের মধ্যে সংঘাত এড়াতে কার্যকরী পদক্ষেপ নেওয়ার।"