ডেঙ্গু- আগে থেকেই সাবধান হল পৌরসভা

ডেঙ্গু হওয়ার আগেই সাবধান হতে বিশেষ বৈঠক।

author-image
Aniket
New Update
x

File Picture

নিজস্ব প্রতিনিধি: গত বছরের অভিজ্ঞতা থেকে চলতি বছর বর্ষার আগেই ডেঙ্গু বিজয় অভিযানে নামল মেদিনীপুর পৌরসভা। উল্লেখ্য, গত বছর মেদিনীপুর পুরসভা এলাকায় ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়েছিল ৫২৩ জন। পুরসভার ৫, ৬, ৭, ১৪, ১৯ এবং ২১ নম্বর ওয়ার্ডে ডেঙ্গুতে আক্রান্তের সংখ্যা ছিল সর্বাধিক। মৃত্যু হয়েছিল একজনের। সেই অভিজ্ঞতা থেকেই এবং মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশ মতো বর্ষার আগেই ডেঙ্গু বিজয় অভিযানে নামল মেদিনীপুর পুরসভা। বুধবার মেদিনীপুর পুরসভার মিটিং রুমে একটি বিশেষ বৈঠকের আয়োজন করা হয়। ডেঙ্গু সংক্রান্তীয় এই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন মেদিনীপুর সদরে মহকুমা শাসক মধুমিতা মুখার্জী। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন পৌরপিতা সৌমেন খান, উপ পৌরমাতা অনিমা সাহা, কাউন্সিলর সৌরভ বসু, সুসময় মুখোপাধ্যায়, মৌ রায় সহ বিভিন্ন ওয়ার্ডে ডেঙ্গু নিধনে কর্তব্যরত কর্মীরা। ঘন্টাখানেক ধরে চলে এই বৈঠক। বৈঠকে বিস্তারিতভাবে আলোচনা হয় গত বছরের ডেঙ্গু পরিস্থিতি নিয়ে।

x

পাশাপাশি চলতি বছর কি কি কাজ করতে হবে তা নিয়েও আলোচনা হয় এই বৈঠকে। বিভিন্ন মালিকানাধীন পুকুর মালিককে নোটিশ পাঠানো হবে পুরসভার পক্ষ থেকে। প্রত্যেকটি ওয়ার্ডের এলাকায় এলাকায় সার্ভে হবে ডেঙ্গুর। ইতিমধ্যে মেদিনীপুর পুরসভার পাঁচ নম্বর ওয়ার্ডের মিত্র কম্পাউন্ডে এক যুবতী ডেঙ্গু পজেটিভ ধরা পড়েছে। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন না থাকলেও সে ঘরে থেকেই নিজের চিকিৎসা চালিয়ে যাচ্ছেন। বর্ষার আগেই মেদিনীপুর পুরসভা এবং মহাকুমা শাসকের কড়া পদক্ষেপ ডেঙ্গু বিজয় অভিযানে যথেষ্ট ভূমিকা রাখবে বলে মনে করছে সকলে। প্রতি সপ্তাহে ডেঙ্গু সংক্রান্তীয় রিভিউ মিটিং হবে বলে জানান মহকুমা শাসক। অন্যদিকে জুলাই মাসের প্রথম সপ্তাহে "স্পেশাল ড্রাইভ ডে" করা হবে বলেও জানান মহকুমা শাসক। নভেম্বর মাস পর্যন্ত ডেঙ্গুর প্রকোপ থাকে বলে স্বাস্থ্য দপ্তরের পক্ষ থেকে জানানো হয়। তাই বর্ষা আসার আগেই ডেঙ্গু বিজয় অভিযান শুরু করল মেদিনীপুর পৌরসভা। ডেঙ্গু টেস্ট এর জন্য ব্যবস্থা রয়েছে মেদিনীপুর পুরসভার তিনটি স্বাস্থ্য কেন্দ্রে। বলবো কোথাও জল জমতে না দেন, এবং ডেঙ্গু সার্ভে করতে যাওয়া কর্মীদের সহায়তা করুন - এমনি বললেন মেদিনীপুর পুরসভার চেয়ারম্যান সৌমেন খান। 

Adddd

Dengue | medinipur municipality | Medinipur | West Bengal  . . . . . . . . . . . . . . .