ডেবরায় ধামতোড়ে গাছ কাটার কোনো অনুমতি নেই: DFO

বনদপ্তরের অনুমতি ছাড়াই সরকারি জায়গায় থাকা গাছ কেটে বিক্রির অভিযোগ।

author-image
Aniket
New Update
d

 


নিজস্ব প্রতিনিধি: বনদপ্তরের অনুমতি ছাড়াই সরকারি জায়গায় থাকা গাছ কেটে বিক্রি করার অভিযোগে শোরগোল এবার ডেবরায়। অভিযোগে তীর তৃণমূল পঞ্চায়েত সদস্যর বিরুদ্ধে। বিডিও এবং বনদপ্তরে লিখিত অভিযোগ জানিয়েছেন বিজেপির পঞ্চায়েত সদস্য। শুরু রাজনৈতিক তরজা। বিষয়টি খতিয়ে দেখার আশ্বাস বনদপ্তর এবং বিডিও-র। ঘটনাটি পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার ডেবরা ব্লকের ডেবরা ৫/১ গ্রাম পঞ্চায়েতের ধামতোড় উত্তরে। ওই বুথের তৃণমূল পঞ্চায়েত সদস্য পান্নালাল ভুঁইয়ার বিরুদ্ধে সরকারি গাছ কেটে বিক্রি করার অভিযোগ তুললো ওই গ্রাম পঞ্চায়েতের বিরোধী দলনেতা তথা পঞ্চায়েত সদস্য গোপাল রাও। প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার আবেদন জানিয়ে ডেবরা বিডিও, ফরেস্টের ডেবরা রেঞ্জ অফিস সহ একাধিক জায়গায় লিখিত অভিযোগ জানিয়েছেন তিনি। তাঁর দাবি, "কোনো অনুমতি না নিয়েই বিনা টেন্ডারে প্রকাশ্যে প্রায় ৪০ টি গাছ কেটে বিক্রি করেছেন। আমরা প্রধানকে জানিয়েছিলাম। তাতেও লাভ হয়নি। তাই আমরা উচ্চ পর্যায়ে জানালাম।" জায়গা সরকারি হোক বা ব্যক্তিগত, গাছ কাটতে গেলে বনদপ্তরের অনুমতি প্রয়োজন। এক্ষেত্রে কি বনদপ্তরের অনুমতি নেওয়া হয়েছিল? যদিও খড়্গপুরের ডিএফও মণিষ যাদব জানিয়েছেন, গাছ কাটার জন্য কোন অনুমতি নেওয়া হয়নি। অভিযোগ পেয়েছি, খতিয়ে দেখা হচ্ছে।" গাছ কাটার কথা স্বীকার করেছেন পঞ্চায়েত সদস্য পান্নালাল ভুঁইয়া। তবে তাঁর দাবি, "গাছ কোনো চুরি বা বিক্রি হয়নি। আমাদের গ্রামে দীর্ঘ বৎসর ধরে পুজো অর্চনা উপলক্ষে মহোৎসব হয়। পঞ্চায়েত থেকে প্রতিবছর নষ্ট হয়ে যাওয়া গাছ আমরা এই পুজোয় লাগাই। সেই হিসেবে পাঁচ-সাতটা গাছ গ্রামবাসীরা নেন। বিরোধীরা আমাদের বদনাম করার জন্য এই সব করছে।" পুরো ঘটনা খতিয়ে দেখা হবে বলে জানিয়েছেন ডেবরার বিডিও প্রিয়ব্রত রাড়ী।