হরি ঘোষ, আসানসোল : কয়লা কুড়াতে গিয়ে পাথর চাপা পড়ে মৃত্যু সপ্তম শ্রেণীর ছাত্রের। মৃত ছাত্রের নাম সন্দীপ টুডু। ঘটনাটি ঘটেছে সাতগ্রাম এরিয়ার শিবডাঙ্গা খোলামুখ খনিতে। দুর্ঘটনায় ঘটনাস্থলে বিজেপি নেত্রী অগ্নিমিত্রা পল ও জিতেন্দ্র তিওয়ারি। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসেন আসানসোল পৌর নিগমের মেয়র পারিষদ সুব্রত অধিকারী। শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা।
গত ১১ অক্টোবর কুনুস্তোরিয়া এরিয়ার রানীগঞ্জ নারানকুড়ি খোলামুখ খনিতে চাপা পড়ে ৩ জনের মৃত্যু হয়েছিল। যদিও বিজেপি নেত্রী অগ্নিমিত্রা পল সাত জনের মৃত্যুর দাবি করেছেন। সেই ক্ষত ভরাট হস না এরই মাঝে সাতগ্রাম এরিয়ার শিবডাঙ্গা খোলামুখ খনিতে দুর্ঘটনায় মৃত্যু হল এক নাবালকের। তবে এবার কয়লা কাটতে গিয়ে নয়, ডাম্পিং এ কয়লা কুড়োতে গিয়ে গাড়ি থেকে পড়া বড় পাথারের টুকরোর নিচে চাপা পড়ে যায় নাবালক। ঘটনাকে ঘিরে ব্যাপক উত্তেজনা ছড়ায় শিবডাঙা খোলা মুখ খনি চত্বরে। জানা গিয়েছে, মঙ্গলবার সকালে শিবডাঙা খোলা মুখ খনির ডাম্পিং স্থলে কয়লা কুড়াতে গিয়ে ডাম্পারের থেকে বড় পাথারের নিচে চাপা পড়ে ওই নাবালক। ঘটনাস্থলে শ্রীপুর ফাড়ির পুলিশ ও সিআইএসএফ ওই নাবালককে উদ্ধার করে আসানসোল জেলা হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। ঘটনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছোন বিজেপি নেতা জিতেন্দ্র তেওয়ারি। তিনি অভিযোগ করেন, ঠিকাদার এলাকার অসহায় পরিবারের বাচ্চা ছেলেদের কম টাকার বিনিময়ে কয়লা বাছাইয়ের কাজ করাচ্ছে। যখন কোনো দুর্ঘটনা হচ্ছে তখন কয়লা চুরি করতে এসেছে বলে চালিয়ে দিচ্ছে। তা হবে না। এই ছেলের মৃত্যুর ক্ষতি পূরন না দিলে খনির কাজ বন্ধ থাকবে। কোনো ভাবেই ধামা চাপা দেওয়া যাবে না। দায়ী ইসিএল। এই ঘটনায় সিআইএসএফ ও পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে এলাকার মানুষ। সিআইএসএফ থাকা সত্ত্বেও কিভাবে খোলামুখ খনির ডাম্পিং স্থলে গেল ওই নাবালক? পুলিশ ও ইসিএলের নিরাপত্তারক্ষিরা কি করছিল? এই ঘটনাকে ঘিরে ব্যাপক উত্তেজনা ছড়ায় শিবডাঙা খোলা মুখ খনিতে। তৃণমূল নেতা সুব্রত অধিকারী জানান, কোটি কোটি টাকা কয়লা থেকে লাভ করেও সুরক্ষা দিতে পারছে না ইসিএল। সিআইএসএফ থাকা সত্ত্বেও কিভাবে ওই নাবালক কিশোর সেখানে পৌঁছালো সেটা নিয়ে তদন্ত হওয়া দরকার। তাছাড়াও মৃত নাবালকের পরিবারকে উপযুক্ত ক্ষতিপূরণ দেওয়ার দাবি করেন তিনি।