স্কুলের হোস্টেলে ঘুমন্ত অবস্থায় বিষধর সাপের কামড়ে মৃত্যু, ক্ষোভ পড়ুয়াদের

ক্ষোভ উগড়ে দিল পড়ুয়ারা।

author-image
Adrita
New Update
আবাসনের লিফট থেকে পড়ে মৃত্যু ব্যক্তির

ফাইল ছবি

নিজস্ব সংবাদদাতা, মেদিনীপুরঃ স্কুলের হোস্টেলে ঘুমন্ত অবস্থায় বিষধর সাপের কামড়ে মৃত্যু হলো একাদশ শ্রেণির এক ছাত্রের। ঘটনাটি ঘটেছে বসন্তপুর ঝাড়েশ্বর বাণীভবন হাইস্কুলে। মৃত ছাত্রের নাম কার্তিক মুর্মু (১৭)। জানা গিয়েছে কার্তিক মুর্মু বিজ্ঞান বিভাগের ছাত্র ছিল। তাঁর বাড়ি নারায়ণগড় থানার অন্তর্গত বাসুদেবপুর এলাকায়। 

জানা গিয়েছে, রাতে পড়াশোনা শেষে করে খাওয়ার পর, হোস্টেলের তিন বন্ধু মিলে একই বিছানায় মশারী টাঙিয়ে শুয়ে পড়ে তারা। ঘুমন্ত অবস্থায় কার্তিকের কানে ছোবল মারে বিষধর সাপ। মধ্যরাতে শুরু হয় বমি সঙ্গে অসহ্য পেটের যন্ত্রণা। তখনই কার্তিক ঘুম থেকে উঠে বন্ধুদের সব কথা খুলে বলে। 

খবর পেয়ে তড়িঘড়ি স্থানীয় বাসিন্দাদের সহযোগিতায় স্কুল কর্তৃপক্ষ ওই ছাত্রকে সবং গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানে সাপের কামড়ের ওষুধ ‘অ্যান্টিভেনাম সিরাম’ (এভিএস) প্রয়োগ করা হয়। কিন্তু তাতেও হল না শেষরক্ষা। পরিস্থিতি আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাকে মেদিনীপুর মেডিকেল কলেজে স্থানান্তরিত করা হয়। সেখানে তার চিকিৎসা চলাকালীন মৃত্যু হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। 

তবে প্রাথমিকভাবে মনে করা হচ্ছে ‘নীরব ঘাতক’ কালাচ সাপের কামড়ে মৃত্যু হয়ে থাকতে পারে ওই ছাত্রের। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই ছাত্রের মৃতদেহ ময়নাতদন্তের জন্য মেদিনীপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। পুরো ঘটনার তদন্ত শুরু করা হয়েছে পুলিশের পক্ষ থেকে। এদিকে এই ঘটনার পর ওই ছাত্রের পরিবার ও স্কুলে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। 

অন্যদিকে এই ঘটনায় স্কুলের গাফিলতির অভিযোগ তুলে, তেমাথানি মকরামপুর রাজ্য সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করে স্কুলের ছাত্ররা। তাদের অভিযোগ, মধ্যরাতে সাপ কামড়ানোর পরে স্কুলের শিক্ষকদের বারবার ডাকার পরেও কোন পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়নি। বরং স্কুলের শিক্ষক বলেছেন, ' এটা কমন ব্যাপার। ' এর পাশাপাশি তাদের অভিযোগ যে স্কুল চত্বর অপরিষ্কার থাকার কারণে এই দুর্ঘটনা স্বীকার হতে হয়েছে ওই ছাত্রকে। তারপরেও কোন পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়নি স্কুলের পক্ষ থেকে।