হুলার আঘাতে গর্ভবতী হাতির মৃত্যু, পদক্ষেপ বন দপ্তরের

কড়া পদক্ষেপ বন দপ্তরের।

author-image
Adrita
New Update
তরফ

ফাইল ছবি

নিজস্ব সংবাদদাতাঃ গত ১৫ আগষ্ট হুলার আঘাতেই ঝাড়গ্রামে মৃত্যু হয়েছিল গর্ভবতী হাতির। সেই হুলাকে ভুলে যেতে চাইছে বনদপ্তর। বিকল্প কি ? দক্ষিণবঙ্গে হাতি তাড়ানোর ক্ষেত্রে এখন একমাত্র হাতিয়ার হুলা। সেই হুলা বিদ্ধ হয়ে হাতি মৃত্যুর ঘটনায় কাঠগড়ায় তুলেছে বনদপ্তরকে। ঝাড়গ্রাম বনবিভাগের ওই ঘটনার জেরে রাজ্যজুড়ে প্রতিবাদ বিক্ষোভে নেমেছিলেন পশুপ্রেমি সহ সাধারণ মানুষজন। দুজনকে গ্রেফতার করেছে বনদপ্তর। তারপরেই হুলা ব্যবহার নিয়ে প্রশ্ন উঠেছিল। লোহার রডের সুঁচালো অংশ ব্যবহার নিষিদ্ধ করার কথাও জানানো হয়েছিল।

অনেকে আবার আগুনের হুলা ব্যবহার না করারও কথা বলেন। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ রয়েছে ফায়ার বল বা আগুনের গোলা ব্যবহার না করার। কিন্তু দক্ষিণবঙ্গের জঙ্গলমহলে আগুন ছাড়া কিভাবে হাতিকে লোকালয় থেকে সরানো সম্ভব তার পথ খুঁজতে সারাদিন বৈঠক বনদপ্তরে।

দক্ষিণবঙ্গের পুরুলিয়া, বাঁকুড়া, ঝাড়গ্রাম, পশ্চিম মেদিনীপুর সহ একাধিক জেলার ডিএফও, রেঞ্জ আধিকারিকদের নিয়ে গত বুধবার খড়্গপুরের হিজলিতে বৈঠকে বসেছিলেন বনকর্তারা। যেখানে উপস্থিত হয়েছিলেন, চিফ ওয়ার্ল্ডলাইফ ওয়ার্ডেন, মুখ্য বনপাল সহ অন্যান্য বনকর্তারা। রেঞ্জ আধিকারিকদের কাছে জানতে চান হুলার বিকল্প হিসাবে কি ব্যবহার করা যায়। যাতে লোকালয় থেকে হাতি সরানো সম্ভব হবে এবং হাতিরও কোনো ক্ষতি হবে না। বিভিন্ন রেঞ্জ এলাকার পরিস্থিতি এবং পরিকাঠামো কি ধরনের রয়েছে তাও জানতে চান।

Elephant | Two members of the Hula Party died in Jhargram while trying to  stop elephants dgtld - Anandabazar

বনদপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, মূলত এদিনের আলোচনা ছিল হুলা ছাড়া কিভাবে হাতিকে লোকালয় থেকে সরানো সম্ভব বা অন্য কোনো নতুন পদ্ধতি চালু করা যায় কিনা। হুলা বা হুলা টিমের নামের পরিবর্তনও এবার আনতে চলেছে বনদপ্তর। বন দপ্তরের বিভিন্ন রেঞ্জ আধিকারিকদের থেকে উঠে এসেছে, হাতিকে ড্রাইভ কম করার কথা। হাতি তাড়ানোয় দেখা গিয়েছে ক্ষতির পরিমাণও বেশি হচ্ছে এবং হাতিও ক্ষিপ্ত হয়ে উঠছে। তবে লক্ষ্য রাখা হবে জঙ্গল ছেড়ে লোকালয়ে প্রবেশ করলে হাতিকে আবার জঙ্গলে তুলে দেওয়ার। অনেকেই জানিয়েছেন, এইভাবে হাতি দু-তিন দিন থাকার পর অন্যত্র নিজেরাই চলে যাবে। বিস্তীর্ণ এলাকায় যে ক্ষতির সম্ভাবনা থাকে তা অনেকটাই আটকানো যাবে। ক্ষতিপূরণও দ্রুত দেওয়া হবে বলেও বৈঠকে উঠে এসেছে।

কিন্তু হাতি তাড়ানোর দাবিতে ক্ষতিগ্রস্ত কৃষক ও এলাকাবাসী একাধিকবার বনদপ্তরের অফিস ঘেরাও, পথ অবরোধ করেছিলেন। সে ক্ষেত্রে কতটা প্রভাব পড়বে ? যদিও বৈঠকে এখনো কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি হুলার পরিবর্তে কি ব্যবহার করা হবে বা তার নামই বা কি হবে। সমস্ত আলোচনায় লিপিবদ্ধ করে নিয়ে গিয়েছেন চিপ ওয়ার্ল্ডলাইফ ওয়ার্ডেন।