নিজস্ব সংবাদদাতা, ঝাড়গ্রামঃ ভিন রাজ্যে কাজ করতে গিয়ে মৃত্যু হয় এক পরিযায়ী শ্রমিকের। জানা গিয়েছে যে, অসুস্থ হয়ে চেন্নাই রাজীব গান্ধী গভর্নমেন্ট হাসপাতালে চিকিৎসাধীন একজন। রাজ্য সরকারের উদ্যোগে ১১ জন ফিরেছেন বাড়ি। এ রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর হস্তক্ষেপে সুস্থ হয়ে কয়েকজন ফিরলেও, ফিরল না সমর খাঁ নামের এক পরিযায়ী শ্রমিক।
জানা যায়,সেপ্টেম্বর মাসের প্রথম সপ্তাহে চন্দ্রকোনার মাংরুল গ্রামের উত্তর পাড়ার ১৩ জন পরিযায়ী শ্রমিক চেন্নাইয়ে ধান লাগানোর কাজ করতে গিয়েছিলন। শ্রমিকদের দাবি সেখানে কাজ করতে গিয়ে তারা কাজ না পেয়ে ফিরে আসার চেষ্টা করেন আর তখনই অসুস্থ হয়ে পড়েন তাদের কয়েকজন। চেন্নাই সেন্ট্রাল রেলওয়ে স্টেশনে ১৩ জন শ্রমিক আসার পরে ঘটনাটি ঘটে।
পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার চন্দ্রকোনা ১ নম্বর ব্লকের তিন নম্বর মাংরুল গ্রাম পঞ্চায়েতের মাংরুল গ্রামে ফিরে আসার চেষ্টা করলে সেখানে একে একে পাঁচজন অসুস্থ হয়ে পড়েন। তাদের ভর্তি করা হয় হাসপাতালে। সেখানেই চিকিৎসারত অবস্থায় মৃত্যু হয় ৩২ বছর বয়সী সমর খাঁয়ের। সত্য পন্ডিত নামের একজন এখনও চিকিৎসাধীন চেন্নাই হাসপাতালে। এরাজ্য প্রশাসনের হস্তক্ষেপে সাহায্য মিলেছে বলে জানিয়েছেন তারা। সরকারের উদ্যোগে ১১ জন পরিযায়ী শ্রমিককে ফিরিয়ে আনা হয়েছে বাড়িতে,গত
উল্লেখ্য, মহালয়ার দিন কফিন বন্দী মৃত সমর খাঁয়ের দেহ বাড়িতে আসে। দাহ কাজ থেকে সমস্ত কিছু দাঁড়িয়ে থেকে দেখভাল করেছিলেন চন্দ্রকোনার তৃণমুল বিধায়ক অরুপ ধাড়া। মৃত পরিযায়ী শ্রমিকের স্ত্রী সন্তান রয়েছে,তাদের পাশে থাকার আশ্বাস দিয়েছিলেন বিধায়ক। শুক্রবার সকালে বিধায়ককে সাথে নিয়ে মৃত পরিযায়ী শ্রমিকের বাড়িতে পৌঁছান রাজ্যসভার সাংসদ সামিরুল ইসলাম সাথে ছিলেন জেলা, মহকুমা, ব্লক প্রশাসনের আধিকারিকেরাও। মৃত শ্রমিকের পরিবারের পাশে দাঁড়ানোর আশ্বাস দেন সামিরুল ইসলাম।
তিনি বলেন,'' আমাকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পাঠিয়েছেন। আপনাদের পাশে সরকার আছে সাথে পরিবারের হাতে আর্থিক সাহায্য,খাবার,নতুন জামাকাপড় ও বাচ্চাদের পড়ার বই,খাতা,স্কুল ব্যাগ সহ বিভিন্ন সামগ্রী তুলে দেন। মৃত শ্রমিকের স্ত্রীকে একটি কাজও দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন সমিরুল বাবু। সরকারি সাহায্য ও প্রতিশ্রুতি পেয়ে আশ্বস্ত হয়েছেন মৃত পরিযায়ী শ্রমিক সমীর খাঁয়ের পরিবার। ''