দিগ্বিজয় মাহালী, পশ্চিম মেদিনীপুর : বৃহস্পতিবার বিকেলের ঝড়-বৃষ্টিতে পশ্চিম মেদিনীপুরে বজ্রাঘাতে মৃত্যু হয়েছে ৩ জনের। আহত হয়ে চিকিৎসাধীন আরও ৪ ৷ প্রবল শিলাবৃষ্টিতে পাকা ধানের ক্ষতির আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। কয়েক মাস ধরেই বৃষ্টিহীন ছিল পশ্চিম মেদিনীপুর। তাপমাত্রা অনেকটাই বেড়ে গিয়েছিল। এক সপ্তাহ আগে সর্বাধিক তাপমাত্রা ছিল ৪৩.৭৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস। প্রবল তাপমাত্রার কারণে অসুস্থ হয়ে হাসপাতালেও ভর্তি হয়েছিলেন কয়েকজন। এর মাঝেই এল কালবৈশাখীর ঝড়, বজ্রবিদ্যুৎ সহযোগে বৃষ্টি। প্রসঙ্গত, চন্দ্রকোনা এলাকায় যাদবনগর গ্রামে তাপস পাতর(২৮) নামে এক যুবকের মৃত্যু হয় বজ্রপাতে। মাঠে কাজ সেরে ফিরছিলেন তিনি। তখনই তার ওপর বজ্রপাত হয়। অন্যদিকে, শালবনী এলাকার বাগমারিতেও বজ্রাঘাতে মৃত্যু হয় স্বপন ভূঁইয়া (৪৪) নামে এক ব্যক্তির। কাজ থেকে বাড়ি ফেরার চেষ্টা করছিলেন তিনি। মেদিনীপুর শহর সংলগ্ন শিরোমনি এলাকায় মাঠে হার্ভেস্টারে ধান কাটার কাজ দেখতে হাজির হয়েছিলেন গ্রামবাসীরা ৷ বজ্রপাত হচ্ছে দেখে তাড়াতাড়ি মাঠ থেকে পালানোর চেষ্টা করেছিলেন ৷ সেখানেই বজ্রপাতের জেরে ঘটনাস্থলে বৈদ্যনাথ সরেন (৫৫) নামে এক ব্যক্তি মারা যান৷ আহত হন আরও দু-জন। তাদের মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
অন্যদিকে, চন্দ্রকোনা থানার নীলগঞ্জ গ্রামে বজ্রাহত হয়েছেন আরও এক মহিলা ৷ আহত মহিলার নাম সম্বরি হেমব্রম(৪২), বাড়ি চন্দ্রকোনার নীলগঞ্জ গ্রামে।স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ছাগলকে গোয়ালঘরে আনার সময় হঠাৎই বজ্রপাত হলে তাতে জ্ঞান হারিয়ে মাটিতে পড়ে যান মহিলা। তাকে উদ্ধার করে চন্দ্রকোনা গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়৷ তিনি সেখানে চিকিৎসাধীন৷ কেশপুরের আঙ্গুয়া এলাকায় মাঠ থেকে ফেরার সময় বজ্রাঘাতে আহত হয়েছেন মামনি ঘোষ নামে আরও এক মহিলা ৷ তিনিও ভর্তি মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে। এদিন শিলাবৃষ্টিও হয়েছে। ফলে মাঠের পাকা ধানে ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে বলে মনে করছে কৃষি দপ্তর ও প্রশাসন।