নিজস্ব প্রতিনিধি, পশ্চিম মেদিনীপুর: ভোটের মাঝে হাতির হানায় মৃত্যু ঘিরে আতঙ্ক ছড়ালো পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার শালবনী ব্লকের মেটাল গ্রামে। বুধবার সকালবেলায় দলছুট দাঁতাল এলাকার জঙ্গলে প্রবেশ করে গিয়েছে। জানতেন না পাশাপাশি গ্রামের বাসিন্দারা। অন্যান্য দিনের মতো বাড়ি থেকে বেরিয়ে সামনের জঙ্গলে শালপাতা তুলতে গিয়েছিলেন বৃদ্ধা। হঠাৎ হাতি এসে পেছন থেকে শুঁড়ে তুলে আছাড় মারলে ঘটনাস্থলেই তাঁর মৃত্যু হয়।
বনদফতর থেকে জানা গিয়েছে মৃত বৃদ্ধার নাম উর্মিলা মাহাত (৬৫)। ঘটনায় এলাকায় আতঙ্কের পরিবেশ। জঙ্গলমহলের বহু মানুষ জঙ্গলের শালপাতা তুলে জীবিকা নির্বাহ করেন। প্রতিদিনই মহিলা পুরুষ নির্বিশেষে জঙ্গলে যান শালপাতা তুলতে। বুধবারও মেটাল গ্রামের চারজন মহিলা বাড়ির সামনের জঙ্গলে গিয়েছিলেন শালপাতা তুলতে। সেই সময় দলছুট দাঁতাল হাতি তাড়া করলে বাকিরা পালাতে সক্ষম হলেও উর্মিলা দেবীর পায়ে সমস্যা থাকায় দৌড়ে পালাতে পারেননি। তাঁকে শুঁড়ে তুলে আছাড় মারে হাতি। ঘটনাস্থলেই তাঁর মৃত্যু হয়। সঙ্গে থাকা মহিলারা দ্রুত গিয়ে খবর দেয় গ্রামের লোকজনদের। তারা এসে হাতিটিকে তাড়িয়ে উদ্ধার করে। কিন্তু ততক্ষণে সব শেষ। স্থানীয়রা বুঝতে পারে ঘটনাস্থলেই উর্মিলা দেবীর মৃত্যু হয়েছে। খবর দেয় চাঁদড়া বনাঞ্চলে।
মৃত বৃদ্ধার ছেলে পশুপতি মাহাত বলেন, "আজ সকালে যে হাতি প্রবেশ করেছে সেটা জানতাম না। না জেনেই মা বেলা ১১ টা নাগাদ পাতা তুলতে চলে গিয়েছিলেন। সেখানে অতর্কিতে হাতি হামলা করে মেরে ফেলেছে"। খবর পেয়ে বনদফতরের লোকজন ঘটনাস্থলে পৌঁছলে তাদের ঘিরে ক্ষোভ দেখায় স্থানীয়রা। পরে চাঁদড়া রেঞ্জের বনকর্মী ও পিড়াকাটা ফাঁড়ির পুলিশের সহযোগিতায় দেহ উদ্ধার করে মেদিনীপুর মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। চিকিৎসকরা ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়েছে দেহ। হাতিটিকে ওই এলাকা থেকে সরানোর উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে বলে জানানো হয়েছে বনদফতরের পক্ষ থেকে। পাশাপাশি প্রয়োজনীয় ক্ষতিপূরণের বিষয়টিও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।