নিজস্ব প্রতিনিধি, ঝাড়গ্রাম : ঝাড়গ্রাম জেলার নয়াগ্রামে আবারও হাতির আক্রমণে মৃত্যু হল এক বৃদ্ধের। বৃহস্পতিবার সকালে মাঠে চাষের কাজে বেরিয়ে হাতির হানায় মর্মান্তিকভাবে মৃত্যু হয়েছে ওই বৃদ্ধের। ঘটনায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে নয়াগ্রাম ব্লকের বুলুসাহি গ্রামে। বৃদ্ধের মৃত্যুতে বন দফতরের দিকেই অভিযোগের আঙুল তুলছেন গ্রামবাসীরা। একের পর এক মৃত্যুর ঘটনা ঘটে চলেছে। কী করছে বন দফতর? এর শেষ কোথায়? ক্ষুব্ধ এলাকাবাসী।
পুলিশ সূত্রে খবর, মৃত বৃদ্ধের নাম রাম হেমব্রম। তিনি নয়াগ্ৰাম ব্লকের বাসিন্দা বলে জানা গেছে। এদিন চাষের কাজে বেরিয়ে হাতির মুখোমুখি হলে হাতি তাঁকে শুঁড়ে তুলে আছাড় মারে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছায় বনদফতরের কর্মীরা। ওই বৃদ্ধের দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ঝাড়গ্রাম জেলা হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। স্থানীয় সূত্রে আরো জানা গেছে, ওই এলাকায় ১৬ - ১৭ টির একটি দাঁতালের দল তাণ্ডব চালাচ্ছে। ইতিমধ্যে হাতির দলটিকে জঙ্গলে ফেরত পাঠানোর চেষ্টা করছে বন দফতর। নয়াগ্রাম ব্লক জুড়ে হাতির আক্রমণে মৃত্যুর সংখ্যা বাড়তে থাকায় বনদফতরের বিরুদ্ধে ক্ষোভ বাড়ছে সাধারণ মানুষজনের। এদিকে সাঁকরাইলের হাঁড়িভাঙ্গা এলাকায় একটি দলছুট দাঁতাল হাতি জঙ্গল থেকে বেরিয়ে রাস্তার উপর চলে আসায় যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। গজাশিমূল থেকে কেশিয়াপাতা রাস্তায়। কিছুক্ষণ পর হাতিটি জঙ্গলে প্রবেশ করতেই যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক হয়। তবে হাতির তাণ্ডব অব্যাহত থাকায় ঝাড়গ্রাম জেলার জঙ্গল লাগোয়া গ্রামগুলির বাসিন্দারা যথেষ্ট আতঙ্কের মধ্যে রয়েছেন। সেইসঙ্গে হাতির হামলায় যেমন প্রাণহানির ঘটনা ঘটছে, তেমনি ফসল ও ঘরবাড়ির ক্ষতি করছে হাতির দল। যার ফলে চিন্তায় পড়েছেন ঝাড়গ্রাম জেলার বাসিন্দারা। বন বিভাগের পক্ষ থেকে মৃতের পরিবারকে সরকারিভাবে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার আশ্বাস দেওয়া হয়েছে। তা সত্বেও নয়াগ্রাম ব্লক জুড়ে হাতির হামলার আশঙ্কায় আতঙ্কের মধ্যে রয়েছেন এলাকার বাসিন্দারা।