হরি ঘোষ, লাউদোহা : শ্বশুরবাড়িতে চলছিল নাম সংকীর্তনের অনুষ্ঠান। শনিবার কীর্তনের অনুষ্ঠানে যোগ দিতেই অন্ডালের উখড়ায় শ্বশুরবাড়ি গিয়েছিলেন লাউদোহার কুলবনি গ্রামের যুবক অজিত রুইদাস। যুবকের পরিবারের দাবি, শ্বশুরবাড়ি থেকে রাত্রি ১০ টা নাগাদ খাওয়া দাওয়া করে বাড়ি ফিরে এসেই অসুস্থ হয়ে পড়েন অজিত । বাড়ি এসে অজিত প্রচুর পরিমাণে বমি করেন। শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ায় তাকে লাউদোহার স্বাস্থ্য কেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে সেখান থেকে দুর্গাপুর মহকুমা হাসপাতালে পাঠানো হয়। সেখানে ডাক্তাররা যুবককে মৃত বলে ঘোষণা করেন । বছর ২৮-এর যুবকের মৃত্যু ঘিরে তৈরি হয়েছে রহস্য । লাউদোহা থানার কুলবুনি গ্রামের ঘটনা ।
মৃত অজিত রুইদাসের কাকা সোমনাথ রুইদাস জানান, ''অজিত ও তার স্ত্রীর মধ্যে দাম্পত্য কলহ ছিল দীর্ঘদিনের। তা সত্ত্বেও ইদানিং অজিত শ্বশুরবাড়ি যাতায়াত করতেন নিয়মিত।'' মৃত অজিতের পরিবার সূত্রে জানা যায়, কয়েক বছর আগে উখড়া গ্রামের ডাঙাল পাড়ার বাসিন্দা মল্লিকা রুইদাসের সাথে বিয়ে হয় অজিতের। তাদের একটি সন্তানও রয়েছে । জানা যায় দাম্পত্য কলহের কারণে সম্প্রতি অজিতের বিরুদ্ধে বধূ নির্যাতনের মামলা করেন মল্লিকা। বর্তমানে সেই মামলা চলছে। আদালতের নির্দেশ অনুযায়ী খোর-পোষ দিতে হয় অজিতকে। অজিতের কাকা সোমনাথ বাবু জানান, ''শনিবার অজিত তার শ্বশুর বাড়ি গিয়েছিলেন কীর্তনের অনুষ্ঠানে যোগ দিতে। শ্বশুরবাড়ি থেকে তাকে ডাকা হয়েছিল। সেখান থেকেই রাত্রি সাড়ে দশটা নাগাদ খাওয়া দাওয়া করে ফিরে এসেই বাড়িতে এসে হঠাৎ জ্ঞান হারিয়ে পড়ে যান অজিত। সঙ্গে সঙ্গে তাকে লাউদোহার প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হয় ।''
ঘটনায় মৃত অজিতের কাকা সোমনাথ বাবু অভিযোগ করেন, ''শ্বশুরবাড়ির লোকজন নিশ্চয়ই খাবারের সঙ্গে কিছু খাইয়ে দিয়েছিল, আর সে কারণেই অজিত বাড়ি এসে বমি করে অজ্ঞান হয়ে পড়েন।'' অজিতের শ্বশুরবাড়ির লোকেদের কঠোর শাস্তির দাবি তোলে মৃতের পরিবার । লাউদোহার ফরিদপুর থানার পুলিশ মৃতদেহ ময়না তদন্তে পাঠায় । এভাবে যুবকের মৃত্যুর ঘটনায় রহস্যের দানা বেঁধেছে। অজিতের মৃত্যুর পিছনে কি কারণ রয়েছে সবটাই এখন তদন্ত সাপেক্ষ যা ময়নাতদন্তের পর সামনে আসবে। এদিকে যুবক সন্তানকে হারিয়ে অজিতের মা কান্নায় ভেঙে পড়ে অজিতের শ্বশুরবাড়ির লোকেদের কঠোর শাস্তির দাবি করেন।