নিজস্ব প্রতিবেদন : বর্তমানে বাজারে সবজির এবং আনাজের দাম বৃদ্ধিতে সাধারণ মানুষের পকেটে চাপ বেড়ে যাচ্ছে। পেঁয়াজের দাম এখন ৮০ টাকা প্রতি কেজি, যা কিছু জায়গায় ৯০ টাকারও বেশি। বাজারদরের ক্রমাগত মূল্যবৃদ্ধি মধ্যবিত্তের দৈনন্দিন জীবনে চাপ তৈরি করছে।
/anm-bengali/media/media_files/1000062141.jpg)
রাজ্য সরকারের টাস্ক ফোর্সের নিয়মিত ধরপাকড়ের ফলে কিছুদিন সবজির দাম কমলেও, বর্তমানে তা আবার বৃদ্ধি পাচ্ছে। উত্তর থেকে দক্ষিণ কলকাতার বাজারে শাক-সবজি, আনাজ, মাছ এবং মাংসের দাম ব্যাপকভাবে বাড়ছে। ডিভিসি জল ছাড়ার ফলে দক্ষিণবঙ্গের একাধিক জেলা প্লাবিত হয়েছে, যার ফলে হাওড়া, হুগলি এবং দুই মেদিনীপুরের চাষের জমি জলের তলায় চলে গেছে। এর ফলে সবজি বাজারে অস্থিরতা দেখা দিয়েছে, এবং কিছু অসাধু ব্যবসায়ী সুযোগ বুঝে কৃত্রিমভাবে দাম বাড়াতে শুরু করেছে। মধ্যবিত্ত পরিবারগুলো কাঁচা সবজি এবং আনাজপাতি কিনতে গিয়ে নাভিশ্বাস উঠে গেছে। এই পরিস্থিতি মোকাবিলায় কৃষি দফতরের অফিসাররা ইতিমধ্যে একাধিক জেলার জেলাশাসকদের সঙ্গে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে বৈঠক করেছেন এবং দাম নিয়ন্ত্রণে টাস্ক ফোর্সকে আরও নজরদারি চালানোর নির্দেশ দিয়েছেন।
/anm-bengali/media/media_files/1000062142.jpg)
বিক্রেতাদের দাবি, জোগান কম হওয়ার কারণে সবজি এবং আনাজপাতির দাম কেজি প্রতি ২০-৩০ টাকা বেড়ে গেছে। দুর্গাপুজোর সময়ে এই দাম আরও বাড়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে। হাওড়ার উদয়নারায়ণপুর, আমতা এবং হুগলির ধনেখালি, পুরশুড়া ও আরামবাগের চাষের জমিতে জল জমে গিয়েছে, যার ফলে অনেক জায়গায় মাঠের ফসল নষ্ট হয়ে গেছে। এই অবস্থায় কৃষকদের জন্য আর্থিক সংকট আরও বাড়ছে এবং সরকার দ্রুত পদক্ষেপ না নিলে পরিস্থিতি আরও জটিল হতে পারে।