মাদকাসক্তি! অর্থ সংগ্রহে বাড়ছে অপরাধমূলক কাজ

প্রখর গ্রীষ্মের দুপুরবেলায় নির্জন রাস্তার সুযোগকে কাজে লাগিয়ে, মাদকের নেশায় অর্থ সংগ্রহের জন্য, ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটানোর তিন দিনের মধ্যেই গ্রেফতার ঘটনার সঙ্গে যুক্ত থাকা তিন অভিযুক্ত। ঘটনাটি ঘটে আসানসোল দুর্গাপুর পুলিশ কমিশনারেটের রানীগঞ্জ থানা এলাকায়।

author-image
Pallabi Sanyal
New Update
s

হরি ঘোষ, দুর্গাপুর : প্রখর গ্রীষ্মের দুপুরবেলায় নির্জন রাস্তার সুযোগকে কাজে লাগিয়ে, মাদকের নেশায় অর্থ সংগ্রহের জন্য, ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটানোর তিন দিনের মধ্যেই গ্রেফতার ঘটনার সঙ্গে যুক্ত থাকা তিন অভিযুক্ত। ঘটনাটি ঘটে আসানসোল দুর্গাপুর পুলিশ কমিশনারেটের রানীগঞ্জ থানা এলাকায়। এবার সেই ছিনতাইয়ের ঘটনায় যুক্ত থাকার অভিযোগে, পুলিশ রবিবার তিন যুবককে গ্রেফতার করে, রানীগঞ্জের কুমোরবাজার এলাকা থেকে। রবিবার তারা এক ছিনতাইয়ের  ঘটনা সংগঠিত করার আগেই  পুলিশ তৎপর থেকে তিন যুবককে হাতেনাতে ধরে ফেলে। ঘটনা প্রসঙ্গে জানা যায় গত ২৬ মে রানীগঞ্জের বক্তারনগর ও নুপুর যাওয়ার রাস্তায় এক দম্পতি স্কুটিতে করে বাড়ি ফেরার সময়, দুপুর প্রায় সাড়ে তিনটে নাগাদ, সেই রাস্তার মাঝে বাইকে করে তাদের পেছন থেকে  ৩ যুবক আচমকায় ধাক্কা দিয়ে দম্পতির সঙ্গে থাকা ব্যাগ ছিনিয়ে নিয়ে চম্পট দেয়। রবিবারই এই ঘটনায় যুক্ত থাকা ওই তিন যুবককে গ্রেফতার করে পুলিশ। ধৃতরা হল অন্ডাল থানার বাসকা গ্রামের বাসিন্দা বছর একুশের সৌভিক সাধু, অন্ডাল সাউথ বাজারের বাসিন্দা বছর কুড়ির রাহুল চৌরাসিয়া , ও বছর আঠারোর অন্ডাল মেলা তলা এলাকার বাসিন্দা বিশাল রাউত, তারা সেদিন দম্পতির কাছ থেকে তাদের ধাক্কা দিয়ে ব্যাগ ছিনিয়ে নিয়ে চম্পট দেয় বলেই জানা যায়। এই বিষয়টি তারা প্রথমেই প্রত্যক্ষ করে হতবাক হয়ে পড়ে। পরে কোনওরকম নিজেদের সামলে, তারা এই ঘটনা প্রসঙ্গে রানীগঞ্জ থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করলে, রানীগঞ্জ থানার পুলিশ তৎপর হয়ে এই ঘটনার তদন্ত শুরু করে। এরপরই মেলে বড়সড় সফলতা। রবিবার রানীগঞ্জ থানার  পুলিশ  ফের কুমোর বাজার ও বক্তানগর যাওয়ার রাস্তায় নজর রাখতেই তারা আবারো সেই তিন যুবককে সন্দেহজনক অবস্থায় ঘোরাফেরা করতে দেখেই আটক করে। আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করতেই মেলে সব তথ্য। ধৃত ওই তিন যুবককে জিজ্ঞাসাবাদ করে জানতে পারা যায়, তারা সেই ছিনতাইয়ের ঘটনা সঙ্গে যুক্ত ছিল। এরপরই পুলিশ প্রথমে গ্রেফতার হওয়ার ৩ যুবককে, আসানসোল জেলা আদালতে হাজির করলে, বিচারক ধৃতদের পুলিশি হেফাজতে রেখে পাঁচ দিনের পুলিশি রিমান্ডে রাখার নির্দেশ দেন। পরে পুলিশ ওই তিন যুবককে দীর্ঘ জিজ্ঞাসাবাদ করে উদ্ধার করে ছিনতাই হওয়া দুটি মোবাইল ফোন, ও ওই মহিলার পার্স, ব্যাগ সহ বেশ কিছু মূল্যবান নথি। ধৃতরা আর অন্য কোনও ঘটনার সঙ্গে যুক্ত রয়েছে কিনা সে বিষয়েও খোঁজ তল্লাশি শুরু করছে পুলিশ। জানা গেছে ধৃত এই তিন যুবক মাদকাসক্ত ছিল। তারা শুধু নিজেদের নেশার খোরাক যোগানোর জন্য এ ধরনের ঘটনা তারা সংঘটিত করছিল বলেই পুলিশের প্রাথমিক অনুমান। বুধবার এই সমস্ত বিষয় এক সাংবাদিক বৈঠক করে সংবাদ মাধ্যমকে জানিয়ে দিলেন আসানসোল দুর্গাপুর পুলিশ কমিশনারেটের এসিপি সেন্ট্রাল টু শ্রীমন্ত ব্যানার্জি, উপস্থিত ছিলেন রানীগঞ্জ থানার ইন্সপেক্টর সুদীপ দাশগুপ্ত, সহ পিসি পার্টির পুলিশের দল।