নিজস্ব সংবাদদাতা : আসন্ন পঞ্চায়েত নির্বাচনে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা পরিষদের ৬০টি আসনে প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করলো জেলা বামফ্রন্ট। ভোট ঘোষণার ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই পশ্চিম মেদিনীপুরের দাসপুরে বামেদের মনোনয়নপত্র তোলার হিড়িক দেখা গিয়েছে। বিধানসভা নির্বাচনে শূন্য হয়ে যাওয়ার পর পুরভোটে ঘুরে দাঁড়ানোর ইঙ্গিত দিয়েছিল বামেরা।প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করার পর সিপিআইএম নেতা সুশান্ত ঘোষ বলেন, নির্বাচন শান্তিপূর্ণ করতে হলে যা যা প্রয়োজন তা করতে হবে রাজ্য নির্বাচন কমিশনকেই। অবাধ ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন না হলে যা ঘটবে ঘটনা তার দায় নিতে হবে কমিশনকেই। যেভাবে পঞ্চায়েত নির্বাচনের দিন ঘোষণা করা হয়েছে তাতে কোনো প্রস্তুতি ছাড়াই কমিশন দিন ঘোষণা করে দিয়েছে বলেও অভিযোগ করেন জেলা সিপিআইএমের সম্পাদক। সুশান্ত ঘোষের কথায়, বাম নেতারা চায় মানুষ যেন ভোট দিতে পারে। তৃণমূল ও বিজেপিকে হারাতে এলে তাদের আন্তরিকভাবে স্বাগত জানানোর কথাও বলেন বাম নেতা।
প্রসঙ্গত, পঞ্চায়েত নির্বাচনের দিন ঘোষণা হওয়ার পরর থেকেই দফা. দফায় অশান্তির ঘটনা ঘটছে রাজ্যে। শুক্রবার মনোনয়নের প্রথম দিন থেকেই সংঘাতে জড়িয়েছে শাসক-বিরোধীরা। দ্বিতীয় দিনেও একই ছবি। যা পরিস্থিতি তাতে ৫ বছর আগে পঞ্চায়েত নির্বাচনের সময় অর্থাৎ ২০১৮ সালে যে ভয়াবহ সহিংসতার সাক্ষী থেকেছে বাংলা, ২০২৩-এর পঞ্চায়েত নির্বাচনের দিন ঘোষণা হতেই সেই ভয়াবহতার যেন পুনঃরাবৃত্তি ঘটছে। এ নিয়ে ইতিমধ্যেই সুর চড়িয়েছে বিরোধীরা। কীভাবে পঞ্চায়েত নির্বাচন অবাধ ও শান্তিপূর্ণ হবে তা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন। এদিকে শান্তিপূর্ণ ভোটের দায়িত্ব কমিশনের বলেই মন্তব্য করেছেন সুশান্ত ঘোষ। তিনি বলেন, ''২০১৮ সালের পঞ্চায়েত নির্বাচন মানুষের কাছে আতঙ্ক হয়ে থেকে গিয়েছে। সেই সময় কোনও বিরোধী প্রার্থী যাতে মনোনয়ন জমা না করতে পারে, সেই নির্দেশ এসেছিল খোদ তৃণমূলের ওপরমহল থেকে।শাসকদলের গুণ্ডা, কর্মীরা ছাড়াও আমাদের ওপর পুলিশি আক্রমণ নেমে এসেছিল। অনেক কর্মী জখম হয়েছিলেন। বহু জায়গায় মনোনয়ন জমা করা যায়নি। এবার যাতে সেই পরিস্থিতি না হয়, সেই দায়িত্ব সম্পূর্ণভাবে নির্বাচন কমিশনকে নিতে হবে।'' দীর্ঘ বাম জমানায় পঞ্চায়েত ব্যবস্থা যেমন ছিল তা আবার রাজ্যে ফিরিয়ে আনতে চান বলেও মন্তব্য করেন সুশান্ত ঘোষ। শাসকদলের বিরুদ্ধে সুর চড়িয়ে বলেন, "উন্নয়নের নামে শুধু শাসকদলের পঞ্চায়েত সদস্যদের পকেট ভরছে। এটা কোনও উন্নয়ন নয়।"