হরি ঘোষ, দুর্গাপুর: দুর্গাপুর ইস্পাত কারখানার উচ্ছেদের নোটিশের প্রতিবাদে ও পুনর্বাসনের দাবিতে দুর্গাপুর ইস্পাত কারখানার নগর প্রশাসনিক ভবনের সামনে তুমুল বিক্ষোভ। এই দিন বিক্ষোভ কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন তৃণমূলের জেলা সভাপতি তথা পাণ্ডবেশ্বরের বিধায়ক নরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী, তৃণমূলের রাজ্য কমিটির সদস্য ভি শিবদাসন দাশু, বিশ্বনাথ পারিয়াল, দুর্গাপুর নগর নিগমের প্রশাসক মন্ডলী সদস্য রাখি তিওয়ারি ও ধর্মেন্দ্র যাদব, প্রাক্তন কাউন্সিলর অরবিন্দ নন্দী, মানস রায়, রাজিব ঘোষসহ অন্যান্যরা।
দুর্গাপুর ইস্পাত কারখানার নগর প্রশাসন ভবনের সামনে মঞ্চ বেঁধে উচ্ছেদের নোটিসের বিরুদ্ধে ও পুনর্বাবাসনের দাবিতে বক্তব্য রাখার পাশাপাশি হুঁশিয়ারিও দেওয়া হয় ইস্পাত কর্তৃপক্ষের আধিকারিক থেকে বিজেপি সাংসদ এস এস আলুওয়ালিয়াকে। অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে ঘটনাস্থলে মজুত ছিলেন এসিপি তথাগত পাণ্ডের উপস্থিতিতে বিশাল পুলিশ বাহিনী ও কাম ব্যাক ফোর্স।
প্রসঙ্গ, গতকাল দুর্গাপুর বর্ধমানের সাংসদ সুরিন্দর সিং আলুওয়ালিয়া দুর্গাপুরে ASP কারখানার ২ নং গেট সংলগ্ন একটি সমাবেশে এসে বলেন, 'আমি প্রেস কনফারেন্স করে বললে কেউ বিশ্বাস করছে না। তাই আজ আমি আপনাদের দরজায় এসেছি বলতে'। তিনি স্পষ্ট ভাষায় বলেন, 'আপনাদের কেউ উচ্ছেদ করতে পারবে না। যদি ডিএসপিকে উচ্ছেদ করতে হয় তাহলে পুনর্বাসন দিতে হবে'। তারপরে আজ সকালে নগর প্রশাসনের ভবনের সামনে বিক্ষোভে নামে তৃণমূল। শহরজুড়ে উচ্ছেদ নোটিশকে কেন্দ্র করে তৃণমূল ও বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলির বাকযুদ্ধ উঠেছে চরমে।
সিপিআইএম জেলা সম্পাদক মন্ডলীর সদস্য পঙ্কজ রায় সরকারের অভিযোগ, যার নিজের দলে কোন গুরুত্ব নেই তিনি উচ্ছেদ নিয়ে নোংরা রাজনীতি করছেন। উচ্ছেদ নিয়ে যদি ওঁর এতই মাথা ব্যথা হয় তাহলে পুনর্বাসনের জন্য রাজ্য সরকারের মধ্যস্থতা কেন দাবি করছেন না যেটা আমরা দাবি করছি'। উচ্ছেদের ব্যাপারে বিশ্বনাথবাবু নিশ্চুপ কেন এই প্রশ্ন তুলেছেন সিপিআইএম জেলা সম্পাদক মন্ডলী সদস্য পঙ্কজ রায় সরকার।
বিজেপি জেলা সাধারণ সম্পাদক অভিজিৎ দত্তের অভিযোগ, চলতি বছরেই দুর্গাপুর নগর নিগমের ভোট হওয়ার কথা। তাই তৃণমূল এই নাটক করছে। পাল্টা বিজেপি জেলা সাধারণ সম্পাদক অভিজিৎ দত্ত প্রশ্ন করেন যে যখন এডিডিএ একের পর এক গরীব মানুষের রুটি রুজি কেড়ে নিচ্ছে, উচ্ছেদ করছে একের পর এক দোকান, তখন কেন বিশ্বনাথ বাবু চুপ করে আছেন?'