কলেজ ছাত্রীকে ধর্ষণ করে খুনের ঘটনায় জড়িত এক মহিলাও! নিজে একজন মেয়ে হয়ে কী করে আরেক জন মেয়ের ধর্ষণে সহযোগিতা করলো! পিংলার ঘটনায় দোষীদের সাজার কথা শোনাল আদালত।
দিগ্বিজয় মাহালী, পশ্চিম মেদিনীপুর : পিংলায় কলেজ ছাত্রীকে ধর্ষণ করে খুনের ঘটনায় দুজনের ফাঁসি ঘোষণা করলো মেদিনীপুর আদালত।খুশির হাওয়া পুলিশ প্রশাসন থেকে রাজনৈতিক মহলে। দিনটা ছিল ২০২১ সালের ৩ মে। আজ থেকে প্রায় ২ বছর আগের কথা। পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার পিংলা ব্লকের জামনা গ্রামের শাশ্বতী জানা নামের এক কলেজ পড়ুয়াকে ধর্ষণ করে গলায় ফাঁস দিয়ে হত্যা করেছিল বাড়িতে কাজ করতে আসা দুই রাজমিস্ত্রী এবং যেই ঘটনায় সহযোগিতা করেছিল এক মহিলাও। ওই দিন দুপুরের মধ্যাহ্ন ভোজের পর এঁটো বাসন ধোয়ার জন্য বাড়ি থেকে একটু দূরে যায় ওই কলেজ ছাত্রী।তারপর থেকে তাকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিল না।সেই সময় বাড়িতে রাজমিস্ত্রির কাজ করছিল বিকাশ মুর্মু, ছোট্টু মুন্ডা ও তপতী পাত্র। বাড়ির সদস্যরা বেশ কিছুক্ষণ খোঁজাখুঁজির পর মাটির বাড়ির এক পরিত্যক্ত জায়গায় ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পায় শাশ্বতীকে।পরে পিংলা থানার পুলিশের তদন্তে ওই বাড়িতে রাজমিস্ত্রীর কাজ করতে আসা বিকাশ মুর্মু,ছোট্টু মুন্ডা ও তপতী পাত্রকে গ্রেফতার করে। এই ঘটনা বিচারাধীন ছিল মেদিনীপুর আদালতে। মঙ্গলবার বিকেলে মেদিনীপুর আদালত দোষী সাব্যস্ত করে দুই রাজমিস্ত্রী সহ মহিলাকে । বিকাশ মুর্মু এবং ছোট্টু মুন্ডা নামে দুই অভিযুক্ত ব্যক্তিকে ফাঁসির সাজা শোনায় মেদিনীপুর আদালত এবং অভিযুক্ত মহিলা তপতী পাত্রকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে৷ এই ঘটনাকে ঘিরে সরব হয়েছিল কলেজের ছাত্র ছাত্রী থেকে শুরু করে জামনা গ্রামবাসীবৃন্দ।একটাই দাবি ছিল, দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিতে হবে।মেদিনীপুর আদালতের এই রায়ের পর খুশি শাশ্বতী জানার আত্মীয় পরিজন থেকে জামনা গ্রামবাসী ও পিংলার রাজনৈতিক মহল।পুলিশ প্রশাসন ও আইনি ব্যবস্থাকে সাধুবাদ জানিয়েছেন আত্মীয় পরিজন থেকে রাজনৈতিক মহল।এই কেসের যিনি আই-ও প্রশান্ত চক্রবর্তীকেও ধন্যবাদ জানিয়েছেন পিংলাবাসী। বুধবার সকাল থেকেই পিংলায় আকাশে বাতাসে খুশির হাওয়া।