মেদিনীপুর কলেজ কাণ্ডে পুলিশের বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ আদালতের!

পুলিশের আপত্তির কারণে সংশ্লিষ্ট থানার ওসিকে হলফনামা জমা দিতে হবে।

author-image
Jaita Chowdhury
আপডেট করা হয়েছে
New Update
fdgvbhnm

ফাইল চিত্র

নিজস্ব সংবাদদাতা: মেদিনীপুর কলেজের আন্দোলনকারী দুই ছাত্রীকে বেআইনিভাবে আটক, হেনস্থা ও মারধরের অভিযোগ উঠেছে। এই ঘটনায় পুলিশের ভূমিকা খতিয়ে দেখতে কলকাতা হাইকোর্ট বিশেষ নির্দেশ দিয়েছে। বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষ আইজিপি প্রশিক্ষণ (Training) মুরলীধর শর্মাকে সমস্ত সিসিটিভি ফুটেজ (CCTV Footage) খতিয়ে দেখার নির্দেশ দিয়েছেন। তদন্ত শেষে আগামী ২৬ মার্চের মধ্যে তাঁকে আদালতে রিপোর্ট (Report) জমা দিতে বলা হয়েছে। পাশাপাশি ঘটনার দিনের সমস্ত ভিডিও প্রমাণ (Video Evidence) সংরক্ষণ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।  

যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষামন্ত্রীর গাড়ির বিরুদ্ধে ছাত্রকে পিষে দেওয়ার অভিযোগ তুলে ৫ মার্চ মেদিনীপুর কলেজে ছাত্র আন্দোলন শুরু হয়। সেই সময় পুলিশ দুই ছাত্রীকে আটক করে থানায় নিয়ে যায়। পরদিন মাঝরাতে তাঁদের ছেড়ে দেওয়া হলেও অভিযোগ ওঠে, কোতোয়ালি থানার পুলিশ বেআইনিভাবে হেফাজতে রেখে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন চালিয়েছে। এই অভিযোগকে কেন্দ্র করে হাইকোর্টে মামলা দায়ের করেন ওই দুই ছাত্রী।  

delhi

আইনজীবী বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য আদালতে জানান, "শিক্ষামন্ত্রীর গাড়ির ঘটনায় প্রতিবাদে ছাত্র আন্দোলন হচ্ছিল, তখনই পুলিশ ছাত্রীদের তুলে নিয়ে যায়। তাঁদের কোনও গ্রেফতারি ওয়ারেন্ট ছাড়াই আটক রাখা হয় এবং হেফাজতে বেধড়ক মারধর করা হয়। অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজ ও হুমকিও দেওয়া হয়। কলেজের মধ্যেকার ভিডিও ফুটেজ (Video Footage) আদালতে পেশ করা যেতে পারে। পুলিশের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হোক।"  

এদিকে, রাজ্যের অ্যাডভোকেট জেনারেল কিশোর দত্ত পুলিশের হয়ে সওয়াল করে দাবি করেন, অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যে। তিনি জানান, থানায় আটক থাকার সময় ছাত্রীরা দুপুরের খাবার খেয়েছেন, বিশ্রাম নিয়েছেন, সন্ধ্যায় জলখাবার ও রাতের খাবারও খেয়েছেন। এমনকি থানার মধ্যেই কিছু সময় সংগঠনের সঙ্গে চ্যাট (Chat) করছিলেন তাঁরা। তাঁর দাবি, পুলিশের বিরুদ্ধে ভিত্তিহীন অভিযোগ আনা হয়েছে।  

বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষ নির্দেশ দিয়েছেন, পুলিশের আপত্তির কারণে সংশ্লিষ্ট থানার ওসিকে ৯ এপ্রিলের মধ্যে হলফনামা জমা দিতে হবে। আইজিপি মুরলীধর শর্মার নেতৃত্বে সমস্ত ডিজিটাল প্রমাণ(Digital Proof) খতিয়ে দেখে তদন্ত করতে হবে। ২৫ মার্চের মধ্যে তদন্ত রিপোর্ট (Investigation Report) হাইকোর্টে জমা দিতে হবে এবং আবেদনকারীদের মেডিক্যাল রিপোর্ট (Medical Report) আদালতে দাখিল করতে হবে। আদালত জাতীয় মানবাধিকার কমিশনকেও রিপোর্ট জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে।