নিজস্ব প্রতিবেদন : বীরভূমে ফিরে এসে অনুব্রত মণ্ডল দলীয় অফিসে নিয়মিতভাবে হাজির হতে শুরু করেছেন। তিনি প্রতিদিন বিকেল থেকে রাত পর্যন্ত পার্টি কার্যালয়ে বসবেন বলে জানা যাচ্ছে। রাজনৈতিক মহলে বর্তমানে এই বিষয়টি নিয়ে আলোচনা চলছে যে, ভবিষ্যতে তিনি কী ধরনের ভূমিকায় থাকবেন।
অনেকে জানতে চাইছেন, কোর কমিটি বাতিল করে কি তিনি একা জেলা পরিচালনা করবেন, নাকি কোর কমিটির নেতৃত্বে থেকে জেলার কার্যক্রম দেখাশোনা করবেন? এই প্রশ্নগুলি তৃণমূল কংগ্রেসের অন্দরমহলে ঘুরপাক খাচ্ছে এবং নেতাদের মধ্যে জল্পনা সৃষ্টি করেছে। অনুব্রত মণ্ডলের আগমন তৃণমূলের জন্য নতুন রাজনৈতিক দিশা নির্দেশ করতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।
২০২২ সালের ১১ অগাস্ট অনুব্রত মণ্ডল গ্রেফতার হন, যা বীরভূমের রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে এক উল্লেখযোগ্য প্রভাব ফেলে। তাঁর গ্রেফতারির পর রাজ্য নেতৃত্ব চিন্তিত ছিল এবং ২০২৩ সালের জানুয়ারিতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বীরভূমে গিয়ে জেলার নেতাদের সঙ্গে একটি মিটিং করেন। এই মিটিংয়ে ফিরহাদ হাকিমও উপস্থিত ছিলেন। সেখানে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় একটি কোর কমিটি গঠন করা হবে, যার সদস্য হিসেবে ছিলেন আশিষ বন্দ্যোপাধ্যায়, বিকাশ রায়চৌধুরী, চন্দ্রনাথ সিনহা, কাজল শেখ, বিশ্ববিজয় মান্ডি, সুদীপ্ত ঘোষ, অভিজিৎ সিনহা এবং দুই সাংসদ। তবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পরিষ্কারভাবে জানিয়ে দেন যে, তিনি সরাসরি জেলার কার্যক্রম পর্যবেক্ষণ করবেন এবং ফিরহাদ হাকিম তাঁকে সহযোগিতা করবেন। এই সব ঘটনা রাজ্যে রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে নতুন মেরুকরণ সৃষ্টি করে।